হোম » সারাদেশ » বগুড়ায় হাসপাতালের সামনে প্রকাশ্য মাইক্রোবাস চালক খুনের ঘটনায়, একজন গ্রেফতার !!

বগুড়ায় হাসপাতালের সামনে প্রকাশ্য মাইক্রোবাস চালক খুনের ঘটনায়, একজন গ্রেফতার !!

এম,এ রাশেদ,বগুড়া জেলা প্রতিনিধি: বগুড়ায় প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর মাইক্রোবাস চালক খাইরুল ইসলাম (২৭) ঘটনায় এক ফার্নিচার শ্রমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তুচ্ছ ঘটনায় প্রাকৃতিক ডাকে সারা দিতে একটি গ্যারেজের টয়লেটে যাওয়া নিয়ে তর্কের জেরে হত্যাকাণ্ডটি সংগঠিত হয়।  এ ঘটনায় মো. বাবু (২৭) গ্রেফতার করেছে পুলিশে। তিনি গাবতলী উপজেলার সোনারায় উপজেলার মোঃ সামাদের ছেলে। শনিবার দিবাগত রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার সময় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও বনানী ফাঁড়ি পুলিশ কাহালু উপজেলার মুরইল থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
এছাড়াও গ্রেফতার বাবুল ঘটনাস্থল কানছগাড়ীতে একজন ঠিকাদার এর বাসায় বাড়ি ভাড়া থাকতেন। সোমবার (০৪ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় জেলার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানায়।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, গত মাসের ২৯ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক ১০টার সময় খুন হওয়া খাইরুল তার বন্ধুদের নিয়ে কানুছগাড়ী এলাকার বিএইচ ফার্মেসীর সামনে নিজের মাইক্রোবাসে চড়ে আড্ডা দিচ্ছিলেন। আড্ডা দেওয়ার এক পর্যায়ে ভিকটিম খাইরুল পাশের ইবনে সিনা হাসপাতালের গ্যারেজের ভিতর প্রাকৃতিক ডাকে সারা দিতে যায়। ওই সময় গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্ত বাবু ও তার বন্ধুদের সাথে খাইরুলের টয়লেটে যাওয়া নিয়ে চরম পর্যায়ে তর্ক-বিতর্কের হয়। বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিয়ে খাইরুল আবারও তার মাইক্রোবাসে চড়ে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে থাকে। এর প্রায় ১০থেকে ১৫ মিনিট পরে রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার সময় গ্রেফতার বাবু তার সহযোগীদের নিয়ে খাইরুলের মাইক্রোবাসের গ্লাস ভেঙে তার উপর অতর্কিত হামলা চালায় ও ছুরিকাঘাত শুরু করে।
খাইরুল নিজেকে বাঁচাতে দৌঁড়ে বিএইচ ফার্মেসিতে গেলে সেখানেও তাহার হাত ও পায়ে চাকু দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে অভিযুক্তরা।  নিহত খাইরুলের বন্ধুরা ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ সুপার আরও জানান, গ্রেফতার বাবু রবিবার (৩ অক্টোবর) আদালতে নিজের সম্পৃক্ততা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
বাবুর সাথে আরও কারা এ ঘটনায় সম্পৃক্ত জানতে চাইলে পুলিশ সুপার বলেন, তদন্ত ও আসামিদের গ্রেফতার এর স্বার্থে আমরা তাদের নাম এখন প্রকাশ করছি না। তবে বাবুর বিরুদ্ধে এর আগে কোন মামলা না থাকলেও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে হত্যাসহ কয়েকটি মামলা আছে।  এরআগে হত্যাকাণ্ডের একদিন পরে নিহতের বাবা আব্দুল খালেক ৩০ সেপ্টেম্বর বগুড়া সদর থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলাদ বাদী আব্দুল খালেক জানান, শুধু মাত্র প্রসাব করাকে কেন্দ্র করে আমার ছেলেকে খুন করা হয়েছে বিষয়টি আমার বোধগম্য নয়। তাইলে কি যারা খুন করেছে তারা অস্ত্র নিয়ে বসে ছিল।  তিনি আরও জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে শুধু মাত্র মৌখিক ভাবে আসামি গ্রেফতার ও হত্যার কারণ জানানো হয়েছে। তবে গতকাল আসামিকে আদালতে হাজির ও ১৬৪ ধারা স্বীকারোক্তি নেওয়া হলেও তাদের আদালতে আসতে বলা হয়নি বলে জানান তিনি।।
error: Content is protected !!