আরিফুল ইসলাম আরিফ,ময়মনসিংহের ভালুকা, প্রতিনিধিঃ-ভালুকা উপজেলার প্রায় সবকটি ইউনিয়নেই সাবলম্বী হতে এনজিও লোন ও হাতে জমানো টাকা,জমি বিক্রি করে বিদেশ ফেরত এসে ছোট-বড় অনেক পোল্ট্রি ফার্ম গড়ে উঠেছে।সরেজমিনে বিভিন্ন ফার্ম ঘুরে দেখাগেছে,বর্তমানে বৈশ্বিক মহামারি করোনার প্রভাবে অনেক ফার্মগুলো লাভের মুখ দেখতে পারছেনা। কারণ চড়া দামে খাদ্য ও ঔষধ কিনে কম দামে ডিম বিক্রি করে লোকসানের কারনে খামার টিকিয়ে রাখা দুর্বিসহ হয়ে পরেছেন ফাঁম মালিকরা।
১৩ই সেপ্টেম্বর উপজেলার ৭নং মল্লিকবাড়ী ইউনিয়নের নয়নপুর সুইস গেইট বাজার সংলগ্ন ফারিয়া পোল্ট্রি ফার্মের মালিক,তরুন উদ্দোক্তা সোলাইমান রাজ জানান,২০১৭ সালে নিজ বাড়ী সংলগ্ন জমিতে ২টি শেড তৈরী করে ১২০০শত লেয়ার মুরগি দিয়ে ফার্ম শুরু করেন।বর্তমানে ২২০০শত মুরগি রয়েছে। বিভিন্ন রোগ বালাই কাটিয়ে প্রতিদিন ভালই ডিম উৎপাদন হচ্ছে।কিন্তু বর্তমানে করোনার প্রভাব এবং বাজার দরপতনের কারনে বেশী দামে খাদ্য এবং ঔষধ কিনে, কম দামে ডিম বিক্রি করায় পোল্ট্রি ব্যবসায় ব্যাপক লোকসান গুনতে হচ্ছে।বর্তমানে পাইকারি হিসেবে কম দামে ডিম বিক্রি করতে হচ্ছে।ফলে পোল্ট্রি ব্যবসা টিকিয়ে রাখা এখন দুরুহ হয়ে পরেছে।তদুপরি তিনি হাল ছাড়েননি তিনি।
পোল্ট্রির পাশাপাশি বাড়ী সংলগ্ন কৃষি আবাদ রয়েছে।আর এই ভাবেই সংসার পরিচালনা করছেন।তিনি জানান,উপজেলা থেকে পোল্ট্রির বিভিন্ন রোগের মধ্যে রানীক্ষেত,গামবোরা,ইনফ্লুয়েঞ্জা,ডাক প্লেগ, ব্যাকটেরিয়া জনিত কলেরা,টাইফয়েড,রক্ত আমাশায়,কৃমি রোগ সহ বিভিন্ন রোগের প্রতিরোধে চিকিৎসকের পরামর্শ ও দিকনির্দেশনার অভাবে ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন ফার্ম মালিকেরা।তার দাবী ভালুকার বিভিন্ন এলাকায় ছোট বড় হাজার হাজার প্রান্তিক পোল্ট্রি খামারীদের রক্ষা করতে উপযুক্ত মুল্যে ডিম বিক্রি ও কম দামে খাদ্য ক্রয়ের নিশ্চয়তা সহ পোল্ট্রি ব্যবসায়ীদের টিকিয়ে রাখার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সহযোগিতার কামনা করেছেন।
আরও পড়ুন
রাজশাহী জেলা পরিষদের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণ কাজের শুভ সূচনা
সিরাজগঞ্জে ফেন্সিডিলসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
নতুন কারিকুলামে শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে স্কুল কমিটি ও অভিভাবকদের মতবিনিময়