মোঃআবদুল মুনাফ পিন্টু: ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী এমপি ও দাগনভুইয়া উপজেলা চেয়ারম্যান এর কাছে আকুল আবেদন করে সামাজিক যোগাযোগে একটি ষ্টাটার্স দিয়েছে এ আওয়ামী পরিবার। তারা জানান, ১৯৯৬ সাল থেকে ছাত্র শিবিরের নেতা হয়ে জননিরাপত্তা আইনের মামলা দায়ের হলে আটক হয় জাফর। বড় ভাই নাসের (ভেন্ডর) তাকে মামলা থেকে রক্ষার জন্য আপ্রান চেষ্টা করে নিজের গড়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অংশীদার করে আজ তাকে প্রতিষ্ঠিত করেন ।
বর্তমানে আওয়ামী লীগ সেজে বহাল তবিয়তে ব্যাবসা করছে দাগনভুইয়া পৌরসভার উদরাজপুর এলাকায়। ৯ নং ওয়ার্ডের তার সন্ত্রাসী একটা গ্রুফ আছে বলে জানান। বৃহস্পতিবার সকাল বেলায় তার বাহিনী দিয়ে ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু নাছের ভেন্ডার এর ছোট ছেলে সজলকে গুরুতর আহত ও রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায় তার ছোটভাই জাফর। নাসের ভেন্ডার আরো জানান, কিছুদিন পুর্বে তার বড় ছেলেকে তুচ্ছ ঘটনায় ঘরের মধ্যে গলাচেপে হত্যার চেষ্টা চালায়। তাদেরকে গালিগালাজ, হুমকি ধমকি, ভয়ভীতি, প্রদর্শন করে তাদের পরিবারকে অতিষ্ট করে তুলেছে। তার বদ মেজাজি আচরণে অতিষ্ট হয়ে আইনের আশ্রয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। তিনি নিজে বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেনদাগনভূঞা থানায়।
দাগনভুইয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি তদন্ত পার্থ প্রতিম দেব জানান, ভাইয়ের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেলেও জাফরকে পুলিশ খুঁজছে। ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্যানেল মেয়র মোঃ ফারুক জানান, তাদের পারিবারিক বিষয় নিয়ে সালিশ বৈঠকে সুরাহা করে দিলেও জাফর পরিকল্পিত ভাবে নাসেরের জায়গায় টেম্পু রেখে প্রতিবন্ধতা করে চলাচলের রাস্তা বন্দ করায় ভাতিজা জিগ্ঙাসা করলে তার উপর হামলা চালায়, তাকে রক্তাক্ত জখম করে।
উল্লেখ্য, নাসের ভেন্ডার আশির দশকের ছাত্রনেতা থেকে বর্তমানে ৯ নং ওয়াড আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে মানুষের পাশে থেকে রাজনৈতিক সংগঠনের সুনাম ও ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন। ছোট ভাইয়ের এমন জগন্য কর্মকান্ডকে হতাশার চোখে দেখছেন বড় ভাই নাছের ভেন্ডর।
আরও পড়ুন
মানিকগঞ্জে থেকে রাজশাহী বাঘাতে গৃহবধূকে ছুরিকাঘাতের মামলার আসামি দিনমজুর
খুলনায় বিদ্যুতের অযৌক্তিক মিটার রেন্ট ও ডিমান্ড চার্জ প্রত্যাহারের দাবি
প্রভাবশালীদের ভয়ে প্রভাবিত হওয়া যাবে না: ইসি রাশেদা সুলতানা