হোম » সারাদেশ » উথলীতে ট্রলির সাথে ধাক্কা মেরে থেমে গেলো খুলনাগামী  সুন্দরবন এক্সপ্রেস, রক্ষা পেলো যাত্রীরা – জনতার টিভি 

উথলীতে ট্রলির সাথে ধাক্কা মেরে থেমে গেলো খুলনাগামী  সুন্দরবন এক্সপ্রেস, রক্ষা পেলো যাত্রীরা – জনতার টিভি 

মো: তারিকুর রহমান চুয়াডাংগা প্রতিনিধি : চালকের দক্ষতায় চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার উথলী রেলস্টেশনে প্রবেশের পূর্ব মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেলো খুলনাগামী ডাউন  সুন্দরবন এক্সপ্রেস। এ ঘটনায় তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতি না হলেও ট্রেনের ইঞ্জিনের সামনের একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে ঘটনার দায় নিতে কেউই রাজি নই। মঙ্গলবার (১৯শে জানুয়ারি) বিকাল ৪টার একটু পরে উথলী হাইস্কুলের সামনের রেললাইনের উপর এ ঘটনা ঘটে৷ ঘটনার পর ওই এলাকায় উৎসুক জনতার ভিড় জমে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে জানা যায়, রেললাইন সংস্কারের জন্য মঙ্গলবার সকাল থেকেই উথলী স্টেশনের আওতাধীন রেললাইনের একটি অংশে সংস্কার কাজ চলমান ছিলো। সেই অনুসারে দর্শনা ও উথলী রেলস্টেশন মাস্টারকে বিষয়টি অবগত করা ছিলো যাতে কোন ট্রেন ওই অংশ দিয়ে দ্রুত গতিতে না যেয়ে যেন ধীরে গতিতে চলে এমন সংকেত চালকদের দেওয়া হয়।
তেমনভাবেই সারাদিন কাজ চলছিলো৷ কিন্তু বিকাল ৪টার একটু পরে কাজ শেষে রেললাইনের স্লিপার বহন করে নিয়ে একটি ট্রলিতে করে উথলী স্টেশনে ফিরছিলো সংস্কার কাজের দায়িত্বে থাকা শ্রমিকরা। ট্রলিটি উথলী হাইস্কুলের সামনে পৌঁছালে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ৬৫১০ নং লোকোধারী খুলনাগামী ডাউন ৭২৬ সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি দ্রুতগতিতে দর্শনা অভিমুখ থেকে এসে ট্রলিতে সজোরে ধাক্কা মারে। ট্রলি চালানোর কাজে যুক্ত থাকা ব্যক্তিসহ ট্রলিতে থাকা অন্যরা এ সময় দ্রুত লাইন থেকে মাটিতে নেমে প্রাণে বাঁচে। ঘটনার পর সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিনের  সামনের নিচের একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ট্রেনটি দীর্ঘ সময় ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে থাকে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ট্রলিতে থাকা এক ব্যক্তি জানান, লাইনে কাজ চলমান থাকায় বিকাল ৫টা পর্যন্ত দর্শনা থেকে উথলী অংশে প্রবেশ করা প্রত্যেকটা ট্রেনের গতি ঘণ্টায়  সর্বোচ্চ ২০ কি.মি. থাকার কথা। সারাদিন সেভাবেই ট্রেন চলাচল করেছে। বিকাল ৪টার একটু পরে আমরা কাজ শেষে ট্রলিতে করে নষ্ট স্লিপারসহ অন্যান্য জিনিস বহন করে নিয়ে উথলী স্টেশনের দিকে ফিরছিলাম। এ সময় দ্রুতগতিতে পেছন দিক থেকে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি এসে আমাদের ট্রলিতে ধাক্কা মারে। ট্রলি থেকে নেমে পড়ায় আমরা প্রাণে বেঁচে যায়।
ট্রেনচালকের বরাত দিয়ে তিনি আরও বলেন, ট্রেনের চালক উথলীর পূর্ববর্তী স্টেশন দর্শনা থেকে এমন কোন সংকেত না পাওয়ায় তিনি অন্যদিনের মতো স্বাভাবিক গতিতেই ট্রেন চালিয়ে আসছিলেন। সুন্দরবন ট্রেন আসার অল্প একটু আগেই খুলনাগামী ডাউন ৭২৮ রূপসা এক্সপ্রেস উথলী রেলস্টেশন পার হওয়ার কারণে আপাতত আর কোন ট্রেন না আসার সম্ভাবনায় তারা ট্রলি বোঝাই করে উথলী ফিরছিলো বলে স্থানীয়দের ধারণা। তাদের আরও একটু নিশ্চিত হয়ে তারপর ট্রলি চালানো উচিত ছিলো বলে মনে করছেন তারা।
তবে ট্রেনের চালক অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দিয়ে ইর্মাজেন্সিভাবে ট্রেনের গতি কমিয়ে আনার কারণে বড়ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে পুরো ট্রেনের যাত্রী। না হলে বড়ধরনের দুর্ঘটনার সম্ভাবনা ছিলো৷ এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি উথলী রেলস্টেশনের কর্তব্যরত মাষ্টার। তিনি বলেন, কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি, তাছাড়া এই সমস্যার জন্য আমাদের কোন দায়দায়িত্ব নাই। তবে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় আজ যদি একটা ট্র্যাজেডি তৈরি হতো তাহলে তার দায়িত্ব কে নিতো?
error: Content is protected !!