মোহাম্মদ খোরশেদ হেলালী: কক্সবাজারের টেকনাফ পৌরসভা সীমান্তের নাফ নদীর ওপারে মিয়ানমারের রাখাইনে সশস্ত্র বাহিনী ও বিদ্রোহী আরাকান আর্মির মধ্যে দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে সংঘর্ষ চলমান রয়েছে। ইতিমধ্যে মিয়ানমারের রাখাইনে অনেক ক্যাম্প দখলে নিয়েছে বিদ্রোহী বাহিনী আরাকান আর্মি (এএ)।
সোমবার (৬ মে) সকাল থেকে মিয়ানমারের ওপার থেকে থেমে থেমে গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ভেসে আসছে । গোলাগুলির বিকট শব্দে টেকনাফের পৌরসভা ও পাশ্ববর্তী ইউনিয়নের বাড়িঘর কাঁপছে, এতে আতংক বিরাজ করছে স্থানীয় বাসিন্দা ও শিশুদের মাঝে।
টেকনাফ পৌরসভার জালিয়া পাড়া এলাকার সীমান্তের বাসিন্দা আলমগীর বলেন, মিয়ানমারে মর্টার শেলের বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির বিকট শব্দে কাপছে পৌরশহর এলাকা। আমরা খুবই আতঙ্কে রয়েছি। বিশেষ করে শিশুরা ভয়ে ঘর থেকে বের হতে চায়না। বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতেও এখন ভয় কাজ করছে।
টেকনাফ পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড নাইট্যং পাড়া বাসিন্দা মোহাম্মদ নুর বলেন, সকাল থেকে গোলাগুলি ও মর্টার শেলের বিস্ফোরণের কারণে আমরা যারা সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাস করছি তারা খুবই আতঙ্কে রয়েছি৷ বাড়ির মহিলা ও শিশুরা রীতিমতো কান্নায় ভেঙে পড়ে৷
হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, দীর্ঘ কয়েকমাস যাবৎ মিয়ানমারে অভ্যন্তরিন সংঘর্ষ ও গোলাগুলির তীব্র শব্দে আতংকিত অবস্থায় রয়েছে টেকনাফ সীমান্তের লোকজন। বিদ্রোহীদের সঙ্গে মোকাবিলায় হেরে গিয়ে প্রাণ বাঁচাতে সেদেশের অনেক সেনাসদস্য পালিয়ে কয়েক দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নেন৷
টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ জানান, সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে তাদের চলমান সংঘর্ষ অব্যাহত আছে, নাফ নদী ও বাংলাদেশ সীমান্তে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি টহল জোরদারের পাশাপাশি টেকনাফ সীমান্তে কঠোর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
আরও পড়ুন
আলফাডাঙ্গায় পিতার জন্য ভোট প্রার্থনায় ভোটারদের দ্বারে দ্বারে দুই পুত্র
সকল দলের মানুষের সেবক হিসেবে পাশে থাকতে চাই- অধ্যক্ষ সইদুল হক
শেরপুরে গরু চোর চাক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার