হোম » সারাদেশ » উল্লাপাড়া বাগমারা বি এস স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতির বিরুদ্ধে ১ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ- চলছে দুদকের তদন্ত 

উল্লাপাড়া বাগমারা বি এস স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতির বিরুদ্ধে ১ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ- চলছে দুদকের তদন্ত 

শাহাদৎ হোসাইন হীরা: সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া বাগমারা বি এস স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতির বিরুদ্ধে প্রায় ১ কোটি টাকার নিয়োগ-বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এ ধরনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় পাবনা  সভাপতি হাফিজের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে বলে জানা যায়। 

ঘটনার সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়  উল্লাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান হাফিজ সাবেক এমপি তানভীর ইমামের  বদন্নতায় বাগমারা বি এস স্কুল এন্ড কলেজে ২০১৩ সালে ম্যেজিং কমিটির সভাপতির  দায়িত্ব পায়। সূত্রটি আরও জানায়  হাফিজ উল্লাপাড়া পৌর শহরের ঘোষগাতি গ্রামের বাসিন্দা।উধুনিয়া ইউনিয়নে পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ বাণিজ্য ও  প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হয়ে নিয়োগ বাণিজ্য করতে এবং অত্র এলাকা থেকে জেলা পরিষদের সদস্য হতে, উধুনিয়া বাগমারা বাড়ি না করে শুধুমাত্র তিন শতক জায়গা কিনে ওই এলাকার ভোটার হন।

সভাপতি হাফিজ ২০১৬ সালে বাগমারা স্কুল এন্ড কলেজে ১ জন নাইট, গার্ড ১ জন পিয়ন, ১ জন কম্পিউটার অপারেটর নিয়োগ করতে ২৫ লক্ষ টাকা ঘুষ বানিজ্য করার অভিযোগ রয়েছে। ২০১৭ সালে কলেজ শাখায় বিজ্ঞান বিভাগে ৬ জন শিক্ষক নিয়োগ করতে ১৮ লক্ষ টাকা ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে। ৭ই জুলাই ২০২২ সালে ল্যাব সহকারী পদে ২ জন  এবং আইসিটি পদে ১ জন নিওগে ২৭ লক্ষ টাকা ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে।প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বরকতউল্লাহ কে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দিতে ২০২২ সালের ১১ই অক্টোবর ২ টি অপ্রচলিত পত্রিকায় গোপন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।

এই নিয়োগে বরকতুল্লাহর সাথে ২০ লক্ষ টাকার চুক্তি হয়, অগ্রিম হিসেবে ১২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা হাফিজকে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হলে এবং বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে সে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে যায়।এই নিয়োগ সম্পন্ন করতে  ৪ ডিসেম্বর ২০২৩ পুনরায় গোপন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে,এবারও এলাকা বাসীর প্রতিরোধের মুখে নিয়োগ পক্রিয়া স্থগিত হলেও তা সম্পন্ন করতে ভিবিন্ন পর্যায়ে দেন দরবার চলছে বলে জানা যায়। অভিযোগ রয়েছে একজন পরিচ্ছন্নতা কর্মীর নাজমুল হক কে নিয়োগ না দিয়েই ২ লক্ষ্য টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ রয়েছে। হাফিজ জেলা পরিষদের সদস্য হওয়ায় সে ২০১৯-২০ অর্থবছরে  প্রতিষ্ঠানের নামে দুটি প্রকল্পের ৬ লক্ষ্য টাকা কোন কাজ না করেই  আত্মসাৎ করে বলে অভিযোগ রয়েছে।

প্রতিষ্ঠানের নামে ৩০ বিঘা ফসলি জমি রয়েছে যার লিজ বাবদ প্রতিবছর ৪ লক্ষ টাকা হিসেবে এ যাবৎ প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা, যার কোন সঠিক হিসাব নেই বলে জানা যায়। উধুনিয়া এলাকাবাসী সূত্রে  জানায় একসময়ের কর্মহীন বেকার অর্থকরী শূন্য হাফিজ কিভাবে ঢাকায় একটি বাড়ি, উল্লাপাড়া ঘোষগাঁতি মহল্লায় একটি ডুপ্লেক্স বিল্ডিং, একটি এক্স নোয়া Toyota গাড়ি, ২ টি  বড় লরি নগদ টাকাসহ বিপুল সম্পদের মালিক।  এ বিষয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় খবর প্রকাশিত হলে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় পাবনা বিষয়টি আমলে নেয়, এতে করে জনমনে কিছুটা স্বস্তি  এলেও হাফিজের প্রতি  দেশের প্রচলিত আইনের দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ না দেখে জনমনে কিছুটা হতাশা বিরাজ করছে।এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় পাবনা উপ পরিচালক  খাইরুল  হক  বলেন- হাফিজের বিষয় টি  তদন্ত চলমান রয়েছে ।

error: Content is protected !!