হোম » সারাদেশ » ঘন কুয়াশায় বোরোর বীজতলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় বগুড়ায় কৃষক

ঘন কুয়াশায় বোরোর বীজতলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় বগুড়ায় কৃষক

এম,এ রাশেদ: ঘন কুয়াশা ও শীতের প্রকোপ বৃদ্ধির কারণে শিবগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বোরো ধানের বীজতলা ব্যাপক হারে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। চারা বিবর্ণ হয়ে হলুদ ও লালচে রং ধারণ করছে। কৃষকরা চারা রক্ষায় কোথাও বীজতলায় ছাই ছিটিয়ে, কোথাও ওষুধ ছিটিয়ে, কোথাও ২৪ ঘন্টা বোরো বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রেখে চারা রক্ষার চেষ্টা করছেন। জমিতে চারা রোপণের আগেই শীত ও কুয়াশায় বীজতলা নষ্ট হওয়ায় চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। কোনো বীজতলায় আবার চারা মারা যাচ্ছে। এতে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে চাষির কপালে।
শিবগঞ্জ উপজেলা মানুষ কৃষি কাজের উপর নির্ভরশীল। গত কয়েক দিন যাবৎ শৈত প্রবাহ  বয়ে যাওয়ায় দেশের অন্যান্য এলাকার মত এ উপজেলায় ঘন কুয়াশাচ্ছন্ন থাকায়  মানুষের জীবন জবুথবু হয়েছে পড়েছে।  ইতিমধ্যেই গত ২০ জানুয়ারি ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা থাকায় এ উপজেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিলো।
কিছুদিন যাবৎ এ উপজেলায় সূর্য্যরে দেখা মিলছে না। দিন-রাত থাকছে ঘন কুয়াশা। তাই এই উপজেলার বেশির ভাগ ধান চাষির কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি  বোরো মৌসুমে ২১ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ৬২ হেক্টর জমিতে ধানের বীজতলা রয়েছে। তবে ঘন কুয়াশার কারণে এ বছর প্রায় ৫ হেক্টর জমির বীজতলার ধানের চারা নষ্ট হওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে।
সরেজমিনে উপজেলার আমজানি, উথলী, বনতেঘরী, শব্দলদিঘী ও পৌর এলাকার তেঘরীসহ কয়েকটি এলাকায় সরেজিমনে গিয়ে দেখা যায় বেশির ভাগ মাঠের বীজতলাই বিবর্ণ রূপ ধারণ করেছে। কোথাও হলুদ, কোথাও কালচে এবং লাল বর্ণ ধারণ করেছে চারা এবং বীজ তলা রক্ষায় পলিথিন বিছানো রয়েছে।
কৃষক তেঘরী গ্রামের লুৎফর রহমান মুকুল, আলমগীর হোসেন, হেলিপোট এলাকার সাইদুল  রহমান, রাঙ্গামাটিয়া গ্রামের আসাদ মিয়া, আব্দুল মান্নান, দহিলা গ্রামের সাজু মিয়া বলেন, তীব্র শীত ও ঘনকুয়াশার কারণে বীজতলায় ধানের বীজ নষ্ট হওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছি। ধানের চারাগুলো হলুদ বর্ণ ধারণ করেছে। আমরা বীজতলা রক্ষায় পলিথিন দ্বারা ২৪ ঘন্টা বীজতলা ডেকে রেখে ধানের চারাগুলোকে রক্ষার চেষ্টা করছি।  এদিকে, বোরো ধানের বীজতলায় চারা সবেমাত্র বড় হতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে নষ্ট হওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে।
এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মুজাহিদ সরকার বলেন, চলতি  বোরো মৌসুমে কৃষকদের বীজতলা রক্ষার জন্য ঘন কুয়াশা থেকে বাঁচাতে স্বচ্ছ পলিথিন দ্বারা ডেকে রাখা ও বীজতলায় রাতের বেলায় ২ ইঞ্চি পানি রেখে দিয়ে সকালে পানি বের করে দেওয়ার জন্য কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।
error: Content is protected !!