হোম » সারাদেশ » বিএডিসির বীজ রোপন করে বিপাকে বগুড়ার শিবগঞ্জের আলু চাষীরা

বিএডিসির বীজ রোপন করে বিপাকে বগুড়ার শিবগঞ্জের আলু চাষীরা

বগুড়া প্রতিনিধিঃ চলতি মৌসুমে গোল আলু উৎপাদন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন  শিবগঞ্জের কৃষকরা। বিএডিসির দেওয়া নিম্নমানের বীজের কারণেই মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন বলে কৃষকদের অভিযোগ।
অপরদিকে, ওই এলাকার যেসব কৃষক  শিবগঞ্জের খোলাবাজার থেকে স্থানীয় হাট বাজার থেকে আলু বীজ এনে রোপণ করেছেন তাদের কোনো সমস্যা হয়নি। আলুর ফলনও ভালো হওয়ার আশা করছেন তারা।
ক্ষতি গ্রস্থকৃষকরা জানান,  শিবগঞ্জ উপজেলার বিহার  ইউনিয়নে প্রতি বছরই আলুর ব্যপক চাষ হয়। এখানকার অনেক কৃষকই আলু চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। ফলে আলু চাষের প্রতি এ অঞ্চলের কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে। এছাড়া  গত বছর বাজারে আলুর দাম ভালো পাওয়ায়  এবার বিপুলসংখ্যক কৃষক আলু চাষ করেছেন।
বিহার ইউনিয়নের ধামাহার গ্রামের আলু চাষী জিল্লুর রহমান, শহিদুল ইসলাম, রাকিবুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম ও ধলু মিয়া বলেন এ উপজেলার অধিকাংশ কৃষকরা বিএডিসির বীজের ওপর নির্ভশীল। বিএডিসি নিয়োগকৃত স্থানীয় এজেন্টদের কাছ থেকে বীজ নিয়ে ক্ষেতে রোপণ করেন তারা। এবছরও তারা বিএডিসি বীজ রোপন করেছেন। জমিতে আলু গাছ দেখে কৃষকদের চোখে আন্দন  দেখা যায়। কিন্তু  প্রায় ৬০ দিন অতিবাহিত হলেও রোপনকৃত বীজ আলুর গাছ জমিতে সতেজ থাকলেও আলুর গাছ উপরে তুলে কৃষকরা হতাশ হয়েছেন। কারণ ওই আলুর গাছে কোন আলু ধরে নাই। দুই থেকে চারটি আলুর গুটি দেখা যাচ্ছে। কৃষকরা জানান বিএডিসির  থেকে পাহাড়ী পাকড়ি আলু  বীজ নিয়ে আমরা প্রায় ১০/১২ বিঘা জমিতে রোপন করেছি, সব জমিতে একই অবস্থা আলু গাছ ভালো কিন্তু ফলন নেই।
স্থানীয় ধামাহার গ্রামের আলু চাষী মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ‘বিএডিসির এজেন্টের কাছ থেকে পাহাড়ী পাকড়ি আলু  বীজ নিয়ে  এবছর তিনি প্রায় ১ বিঘা জমিতে আলু লাগিয়েছি। আলু জমিতে নিয়মিত সার ও ঔষুধ স্প্রে করছি এবং সেচ দিয়েছি। আলুর গাছের বয়স ৬০ দিন হলেও এখনও আলুর ধরে নাই। তবে আলু গাছ সতেজ রয়েছে। আমার প্রায় প্রতি বিঘা জমিতে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।
বিএডিসি বগুড়া উপ-পরিচালক বীজ বিপনন জাকির হোসেন বলেন, এ আলুর জাতের ফসল ৮০-৯০ দিনে হয়ে থাকে। আলু ধরা শুরু করে ৪৬ থেকে ৫৫ দিনের মধ্যে এবং আলু বৃদ্ধি হয় ৬৬ থেকে ৯০ দিনে। তবে এ বছর লেইট ব্লাইট রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি হওয়ায় কৃষকরা নরমাল মেশিন দ্বারা ঔষুধ প্রয়োগ করছে। যেহেতু রোগটি আলুর পাতার নিচে এই জন্য পাওয়ার স্প্রে মেশিন দ্বারা ঔষুধ প্রয়োগ করার পরামর্শ প্রদান করেন তিনি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল-মুজাহিদ সরকার বলেন, বিষয়টি আমরা অবগত রয়েছি। ইতিমধ্যে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে সরেজমিন আলুর জমি পরিদর্শন করা হয়েছে। তবে ৭/৮টি করে আলুর উিটবার আছে। এ জাতের আলুর  ফলন ৮০-৯০ দিনের মধ্যে হয়ে থাকে। তবে এ জাতটি এ বছর আমাদের দেশে প্রথম এবং ভারত থেকে আমদানীকৃত এ জাতের বীজ।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসার অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মোৗসুমে  শিবগঞ্জ উপজেলায় ১৫০
হেক্টর জমিতে আলুর চাষ হয়েছে।
error: Content is protected !!