হোম » সারাদেশ » লালমনিরহাটে কনকনে ঠান্ডা, সূর্যের দেখা মিলছে না

লালমনিরহাটে কনকনে ঠান্ডা, সূর্যের দেখা মিলছে না

মিজানুর রহমান: চারিদিকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে উত্তরের লালমনিরহাট। বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা। হিমেল হাওয়া আর কনকনে ঠাণ্ডায় লালমনিহাটের জনজীবন বিপর্যস্ত। কনকনে এই ঠাণ্ডায় বিপাকে পড়েছে মানুষ। গত তিন দিন থেকে ঘনকুয়াশায় ঢাকা পড়ছে পুরো এলাকা। মহাসড়কগুলোতে লাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। 
বুধবার দুপুর ২টাও সূর্যের দেখা মেলেনি। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে হিমেল হাওয়া আর কনকনে ঠান্ডা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষেরা। হার কাঁপানো শীতে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না নিম্নআয়ের মানুষ। অনেকে খরকুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র জানান, বুধবার সকাল ১০টা পর্যন্ত লালমনিরহাট ও এর আশপাশের এলাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে হিমেল হাওয়া আর কনকনে ঠান্ডায় লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলার নিম্ন আয়ের মানুষ কাজে যেতে না পারে পরিবারপরিজন নিয়ে কষ্টে দিন পার করছেন। তিস্তা,ধরলা ও সানিয়াজান নদীর তীরবর্তী চর এলাকার মানুষ এই কনকনে ঠান্ডায় মানাবে তোর জীবন যাপন করছে। অনেকে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিরপাড়ায় ইউনিয়নের সালেহা বেওয়া বলেন, ঠান্ডার কোন কাপড় নেই তাই আগুন জ্বালিয়ে বসে আছি। ফকিরপাড়া ইউনিয়নের ভ্যানচালক আসাদুল ইসলাম বলেন,গত তিনদিন ধরে প্রচুর শীত। এই শীতে কেউ ঘর থেকে বের হয় না। তাই ভাড়াও খুঁজে পাচ্ছি না। ট্রাক ড্রাইভার মাসুম মিয়া বলেন, ঘনকুয়াশায় কারণে রাতে গাড়ি চালানো যাচ্ছে না। এমনকি দিনের বেলায়ও হেডলাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চালাচ্ছি।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা প্রকল্প ও বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম বলেন, ছিন্নমূল শীতার্ত মানুষের জন্য গরম কাপড় বিতরণের প্রস্তুতি চলছে। খুব দ্রুত তা বিতরণ করা হবে।
error: Content is protected !!