বোন তফুরা খাতুন (২৩), স্বামী-মোঃ রুহানী মিয়া ওরফে লোহানী (২৬), পিতা-মোঃ ইছাহাক আলীর বিরুদ্ধে বিজ্ঞ রৌমারী পারিবারিক আদালত, কুড়িগ্রামে মামলা করেন। যার মোকদ্দমা নং-৩০/২০২০ পারিবারিক। মামলাটি বিচারাধীন আছে। তফুরার স্বামী রুহানী পূর্বের আত্মীয় সূত্রে আপন মামতো ভাই। আবার অন্যদিকে জানা যায়, ২৩/০২/২০১৫ইং সনে তফুরার বিবাহের পর থেকে যৌতুকের টাকার জন্য স্বামী ও স্বামীর পরিবারবর্গের কাছে প্রতিনিয়ত নির্যাতনের শিকার হতে হতো।
তাই ঘটনার দিন ও সময় ০৯/১০/২০২০ইং রোজ শুক্রবার বিকাল ৪:০০ ঘটিকা উল্লেখে তফুরা খাতুন ৩ জনকে বিবাদী করে বিজ্ঞ আমলী আদালত, রৌমারী, কুড়িগ্রামে আরেকটি যৌতুক আইন ২০১৮ এর ৩ ধারায় মামলা করেন। যার মোকদ্দমান নং-৯৩/২০২০। বিবাদী (১) মোঃ রুহানী মিয়া, পিতা- মোঃ ইছাহাক আলী (২) মোঃ ইছাহাক আলী (৪৮) পিতা- মৃত আনজর আলী (৩) মোসাঃ সাফিয়া বেগম, জং- মোঃ ইছাহাক আলী। বিবাদীর স্থায়ী ঠিকানা পটুযারকান্দি, ডাকঘর-জুলসুফা, থানা-আজমীর, জেলা-হবিগঞ্জ। বর্তমান ঠিকানা বাদী-বিবাদীর একই স্থানে, সাং-পাথরঘাটা, ডাকঘর-কুচিয়ামারী,
থানা-সিরাজদিখান, জেলা-মুন্সিগঞ্জ। মামলা দুটির খবর পেয়ে বর্তমান ঠিকানা সিরাকদিখানে ছুটে যান বাংলাদেশ আইন সহায়তা কেন্দ্র ফাউন্ডেশন (বাসক)। বিবাদীদেরকে নোটিশ করেন বিগত ০৫ ডিসেম্বর ২০২০ইং। তারপর ৬ ডিসেম্বর ২০২০ইং তারিখ সকাল ১০ ঘটিকায় রাস্তায় পেয়ে তফুরা খাতুনের ভাই মোঃ আহম্মদকে প্রাণ নাশের হুমকি দেন। মোঃ ইছাহাক মিয়া (৪৮) ও ইসমাঈল মিয়া ওরফে বাদল (আনুমানিক বয়স ৩৮)। মোঃ আহম্মদ তার বোন তফুরা খাতুনকে জানায়। তারই ধারাবাহিকতায় তফুরার
ভাই সন্ধ্যায় ৫.৩০ ঘটিকায় ব্যাডমিন্টন খেলতে গিয়ে বাসায় ফিরেননি। মোঃ আহম্মদ এর বাবা মোঃ মুকবুল হোসেন ও মা মোসাঃ মনোয়ারা খাতুন বহু খোঁজাখুজি করে সন্তান আহম্মদ উল্যা (সাড়ে ১২) এর খোঁজ না পেয়ে মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থানায় মা মনোয়ারা খাতুন বাদি হয়ে একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। যার ডায়েরী নং-২৪৭ তাং-০৭/১২/২০ইং। জিডি হওয়ার পর ক্ষমতাসীন বিবাদীরা তফুরা খাতুনের গরীব বাবার স্ব-পরিবারকে গ্রাম ছাড়া করেছে। নিখোঁজের এক মাস ৪ দিন পরও সন্ধান মিলেনি। সিরাজদিখান থানায় বারবার মামলা করতে গেলেও থানা কর্তৃপক্ষ মামলা নেননি। অভিযোগ পাওয়া গেছে, নিখোঁজ মোঃ আহম্মদের মা মোসাঃ মনোয়ারা খাতুনের। এ ব্যাপারে তথ্য জানতে চাইলে জিডির তদন্তকারী কর্মকর্তা এস. আই. সেন্টুর কাছে, তিনি বলেন, আমরা তো নিখোঁজের জিডি নিয়েছি।
এখনো খোঁজখবর পাইনি। ভিক্টিম মামলা করতে গিয়ে, মামলা করতে পারেননি, এমন প্রশ্নের উত্তরে এসআই সেন্টু বলেন, ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ নতুন ওসি এসেছে থানায়। তাদেরকে আবার থানায় পাঠান। মামলা হওয়ার মতো হলে মামলা হবে। এ প্রতিবেদক তথ্য অনুসন্ধানে গেলে স্থানীয় একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, তিনি বলেন, যে দুই জন মোঃ আহম্মদকে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়েছে, তারা দুই ভাই হবিগঞ্জ জেলায় জোসনা বেগমকে হত্যা মামলার আসামী। ভুক্তভোগী মনোয়ারা খাতুন প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। অনুসন্ধান অব্যাহত …
আরও পড়ুন
বাসাইলে তামাক নিয়ন্ত্রণে করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন- ২০২৪ উপলক্ষে পুলিশের নিরাপত্তা ব্রিফিং অনুষ্ঠিত
নওগাঁয় জিরাশাইলের বিকল্প বঙ্গবন্ধু ১০০ জাত সহ উচ্চ ফলনশীল ধান কাটামাড়াই