হোম » প্রধান সংবাদ » গাইবান্ধা শহরের সরকার পাড়ায় কমমূল্যে জমি কিনতে না পারায় নিরীহ একটি পরিবারকে ধারাবাহিকভাবে নির্যাতনের অভিযোগ

গাইবান্ধা শহরের সরকার পাড়ায় কমমূল্যে জমি কিনতে না পারায় নিরীহ একটি পরিবারকে ধারাবাহিকভাবে নির্যাতনের অভিযোগ

শাহজাহান সিরাজ : গাইবান্ধা শহরের সরকার পাড়ায় কমমূল্যে জমি কিনতে না পারায় অসহায় একটি পরিবারকে চলাচলের রাস্তা বন্ধ, দফায় দফায় গালাগাল, মারপিট এবং মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে সর্বশান্ত করতে উঠে পড়ে লেগেছে পাশ^বর্তী প্রতিবেশী লুন্ঠন মামলা এবং হ্যান্ডকাফসহ পুলিশের হাত থেকে পালিয়ে যাওয়া আসামী আফছার আলীর ছেলে জয়নাল।

ভুক্তভোগী মৃত. ফজলার রহমানের পুত্র নিরীহ মহাসিন মিয়া জানান, উক্ত জয়নাল জোরপুর্বক তার বসতবাড়ির জায়গা কেনার প্রস্তাব দেয়। জয়নাল একজন কুখ্যাত দাদন ব্যবসায়ি এবং আন্ত: জেলা মটর সাইকেল চোর সিন্ডিকেটের সক্রিয় একজন সদস্য বলেও সাংবাদিকদের জানান মহসিন মিয়া। উক্ত জয়নাল তার স্ত্রী আছমা, শ্যালক রিংকু, শ্যালকের স্ত্রী রুমিসহ দাঙ্গাবাজ মাদক কারবারী এবং পরসম্পদ লোভী ঐ পরিবারের সদস্যদের
হাতে ধারাবাহিকভাবে শারীরিক নির্যাতনের ফলে মহসিন মিয়ার একমাত্র পুত্র কনক মিয়া বর্তমানে মানসিক ভারসাম্যহীন রোগীতে পরিণত হয়েছে।

 

ঐ ভ‚মিদস্যু জয়নালের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ কোর্টে সাত ধারা মামলা, থানায় অভিযোগ দেয়া, জমি বিক্রি না করায় সে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে মহসীন মিয়া, তার ছেলে কনক মিয়া ও তার পরিবারকে চিরদিনের জন্য নিশ্চিহ্ন এবং খুন করে গুম করারও হুমকি দিয়ে আসছে ঐ জয়নাল গংরা। সর্বশেষ গত ২২ নভেম্বর বিকেলে আসামী জয়নাল, তার স্ত্রী আছমা, আকরাম হোসেনের পুত্র রিংকু মিয়া এবং রিংকুর স্ত্রী রুমি বেগম গংরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে নিরীহ এবং শান্তিপ্রিয় মহসীন মিয়া, তার স্ত্রী ও ছেলে কনক মিয়ার উপর হামলা চালিয়ে তাদেরকে মারপিট করে আহত করে। টাকাও ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় মহসীন মিয়া বাদী হয়ে গাইবান্ধা সদর থানায় জয়নাল সহ ৪ জনকে আসামী করে এজাহার দায়ের করে।

 

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে জয়নাল আবেদীন তার বিরুদ্ধে আনীত সবগুলো অভিযাগ অস্বীকার করে বলেন, “মহসীন মিয়াকে তার জমি টুকু আমার কাছে বিক্রি করতে বলেন। এটাই একমাত্র সমাধান। আর সেটা না হলে এসব সাংবাদিক, টিভি-পত্রিকা, পুলিশ-র‌্যাব, হাইকোর্ট-এমনকি প্রধানমন্ত্রীও এই মহসীন আর তার পরিবারকে
রক্ষা করতে পারবে না। ” গাইবান্ধা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মাহফুজার রহমান জানান, আমরা এজাহার পেয়েছি। ঘটনাটি তদন্তপুর্বক খুব তারাতারি পরবর্তী আইনী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

error: Content is protected !!