হোম » প্রধান সংবাদ » বগুড়ার শেরপুরে চাষিরা শীতকালীন সবজিতে ভাগ্য বদলের চেষ্টা

বগুড়ার শেরপুরে চাষিরা শীতকালীন সবজিতে ভাগ্য বদলের চেষ্টা

আবু জাহের, শেরপুর (বগুড়া) থেকে: মৌসুমের শীতকালীন সবজি চাষ করে কমবেশি লাভবান হয় চাষিরা। যা অন্য সময় চাষ করলেও হয় না বলা যায়। দুই দফা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কৃষকরা। পিছিয়ে পড়েছে শীতকালীন সবজি চাষে। আর এই ক্ষতি পুষিয়ে নিয়ে ভাগ্য বদলের চেষ্টায় শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) বিভিন্ন সবজিক্ষেত ঘুরে দেখা গেছে, শীতকালীন সবজি নিয়ে চাষিদের ব্যস্ততা।

 

শেরপুর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে মধ্যে খামারকান্দি, গাড়িদহ, সুঘাট সবজি চাষের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। এসব ইউনিয়নে বছর জুড়েই রকমারি সবজি ফলান চাষিরা। এরমধ্যে গাড়িদহ ও খামারকান্দি ইউনিয়নে সবজি চাষের পাশাপাশি উৎপাদন করা হয় সবজির চারা। নির্দিষ্ট ইউনিয়ন ছাড়াও অন্যান্য ইউনিয়নগুলোতেও কমবেশি সবজি চাষ হয়ে থাকে। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, শীত পুরোপুরিভাবে না এলেও শীতকালীন সবজিতে
অকেনটা ভরে উঠেছে মাঠ। তবে দুই দফা বন্যায় আগাম শীতকালীন সবজি তেমন চাষ করতে পারেনি।

 

তাই কেউ জমির আগাছা পরিষ্কার করছেন, কেউ আবার নতুন করে প্রস্তুত করছেন আবাদি জমি। অনেক চাষি ক্ষেতের সবজি তোলা নিয়ে পার করছেন ব্যস্ত সময়। অনেকেই আবার ক্ষেতে কীটনাশক দিচ্ছেন। সবমিলিয়ে বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, টমেটো, লাউ, মূলাসহ বিভিন্ন জাতের সবজিতে ভরে উঠেছে দিগন্তজোড়া ফসলের মাঠ। গাড়িদহ ইউনিয়নের কালসি মাটি, বাংড়া গ্রামের কৃষক মাহবুব, জানান, দুই দফা বন্যা শেষে শীতকালীন সবজি আবাদেও ফলন ভালো হয়েছে এবং লাভের মুখ দেখা যাচ্ছে।

 

তবে আবহাওয়ার একটু হেরফের হলে সবজির ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বাড়তি বৃষ্টি ও ঘন কুয়াশা হলে ফসলের ক্ষতি হয় বলেও জানান তারা। কৃষক মোস্তাক বলেন, সবজি চাষ করতে খুব বেশি জমির প্রয়োজন হয় না। তুলনামূলক অল্প সময়ের মধ্যেই সবজি বাজারজাত করা যায়। নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বাজারে বিক্রিও করা যায়। এতে কৃষকের বেশ লাভ হয়, যা অন্য ফসলে সম্ভব না।

 

তিনি আরোও জানান, অনেকেই শীতের প্রথম ভাগে সবজি বাজারে তুলতে মাঠে নামেন। বন্যার কারণে এবার অধিকাংশ কৃষক তা করতে পারেনি। কিছু সংখ্যক কৃষক তুলতে পেরেছে। কারণ এই সময়ে সবজির ভালো দাম পাওয়া যায়। দ্বিতীয় ভাগে শীতের মাঝামাঝিতে সবজি হাটে-বাজারে তোলার প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করেন বেশকিছু
কৃষক। আবহাওয়া ঠিকঠাক থাকলে এ সময়টাতে সবজির ভালো দাম মেলে। তবে শেষভাগে উৎপাদিত সবজির ভালো দাম পাওয়া নিয়ে অনেকটা ঝুঁকি থাকে। খামারকান্দি ইউনিয়নের কৃষক মোখলেছ জানান,

 

প্রতি বছর এই শীতকালীন সময় কম দামে সবজি বিক্রয় করা হয়। এ বছর বন্যায় জমি ক্ষতি হওয়ায় শীতকালীন সময়েও ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে তাই অনেক আবার নতুন করে চাষবাদ শুরু করেছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার জানান, বর্তমানে রবি মৌসুমের শীতকালীন সবজি চাষ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে অকেন কৃষক কারণ বন্যার কারনে তারা পিছিয়ে পরছে। তিনি বলেন, উপজেলায় এ পর্যন্ত গড়ে ১ হাজার হেক্টর জমিতে রবি মৌসুমের শীতকালীন সবজি চাষ করা হয়েছে। এ বছর পুরো মৌসুমে সাড়ে ১৬শ হেক্টরের মধ্যে ১ হাজার হেক্টর অগ্রগতি হয়েছে এবং চলমান রয়েছে।

 

 

error: Content is protected !!