হোম » ধর্ম » বিজয়ী দশমীর আনুষ্ঠানিকতা শেষে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে প্রতিমা বিসর্জন: মানুষের ঢল

বিজয়ী দশমীর আনুষ্ঠানিকতা শেষে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে প্রতিমা বিসর্জন: মানুষের ঢল

চট্টগ্রাম থেকে, নেয়ামুল মাওলা রাজধন : প্রতিমা বিসর্জনে দেখা গেছে নানা ধর্ম, শ্রেণি ও পেশার মানুষের অংশগ্রহণ। করোনাভাইরাসের কারণে এবার শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়নি। প্রতিমা বিসর্জনে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে মানুষের ঢল নেমে এসেছে। নিজেদের ধর্মের রেওয়াজ মতে তেল-সিঁদুর পরিয়ে, পান, মিষ্টি মুখে দিয়ে দেবী দুর্গাকে বিদায় জানাতে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে ভক্ত ও অনুসারীদের এই ভিড় ছিল লক্ষণীয়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল ১১টা থেকে চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ থেকে প্রতিমা বিসর্জনের জন্য ট্রাকবাহী প্রতিমা নিয়ে ঢাক-ঢোল বাজিয়ে পূজারী ও ভক্তরা জড়ো হতে শুরু করেন পতেঙ্গা সৈকতে। এরপর শুরু হয় প্রতিমা বিসর্জনের পালা।

হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী, এ বছর দেবী দুর্গা মর্ত্যে এসেছেন দোলায় চড়ে। সোমবার দুপুর থেকে সমুদ্র সৈকত পতেঙ্গায় একে একে প্রতিমা বিসর্জন শুরু হয়। এর আগে, বিজয়া দশমীর আনুষ্ঠানিকতা শেষে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে প্রতিমা বিসর্জন শুরু হয়।

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পাঁচ দিনব্যাপী দুর্গাপূজা। দুর্গার বিদায় উপলক্ষে সকাল থেকে বিদায়ের সুর বেজে উঠে বিভিন্ন মণ্ডপে। বাদ্যের ঘণ্টা বাজিয়ে ‘জয়, দুর্গা মায়ের জয়’ বলে একের পর এক প্রতিমা ভাসিয়ে দেওয়া হয় সাগরে। বিকেল ৪টা পর্যন্ত প্রায় ৫০টির মতো প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট চন্দন তালুকদার বলেন, চট্টগ্রাম নগরীর ১৬টি থানায় ২৭৩টি মণ্ডপে এবার দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়। করোনার কারণে এবার শোভাযাত্রা ও ধর্মসভাসহ অনেক কিছু সরকারি নির্দেশনা মেনে করা হয়েছে।

পতেঙ্গা থানার পরিদর্শক মো. মিজানুর রহমান বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে সাগরে প্রতিমা বিসর্জন দিচ্ছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। সমুদ্র সৈকতে এবং আশেপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছে। করোনা ভাইরাসের কারণে এবার প্রতিমা বিসর্জনে কিছু বিধি-নিষেধও ছিল। সবকিছু মেনেই করা হয়েছে। তাছাড়া এবার বেশি মানুষের সমাগম না করতেও নির্দেশনা রয়েছে।
/এইচ.

error: Content is protected !!