রাজশাহী বাঘায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনাও ঘটেছে। উভয়পক্ষ লাঠি নিয়ে এই সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। শনিবার (২২ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাঘা উপজেলা পরিষদের সামনে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। এর আগে এখানে দুই পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে মানববন্ধনের ডাক দেয়।
সকালে দুই পক্ষ উপজেলার সামনে আসলে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।এক পর্যায়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে বেশ কয়েক রাউন্ড ফাকা গুলিও ছুড়ে।
স্থানীয়রা জানায়, বাঘা পৌরসভার দুর্নীতি ও পৌরসভার মেয়র আক্কাছ আলীর স্বজনপ্রীতি, স্বেচ্ছাচারিতা কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে মানববন্ধন ডাকে স্থানীয় এমপি শাহরিয়ার আলম গ্রুপের নেতাকর্মীরা। অপর পক্ষ পৌর মেয়র আক্কাছ আলী গ্রুপের নেতাকর্মীরা সাব রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক সমিতির নামে জমির ক্রেতার কাছে জোরপূর্বক অতিরিক্ত টাকা আদায়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ ডাক দেন।
আহতের মধ্যে হলো (১)মোঃ রফিকুল ইসলাম, পিতা মৃত মজিবর রহমান সাং বেরের বাড়ি (২) মোঃ ফিরোজ পিতা মৃত আজিজুর(৩) মোঃ আশরাফুল ইসলাম বাবুল সেক্রেটারি উপজেলা আওয়ামী বাঘা (৪) আব্দুল খালেক পিতা আজেরসাং তেপুকুরিয়া(৫) জারমানপিতা মৃত সিরাজ সাং আমোদপুর (৬) শাহাদত হোসেন পিতা সাহারাজ সাং আড়ানী (৭) ইশতিয়াক পিতা মজু(৮) তাজপিতা মৃত সোহারাব সাং আড়ানী (৯) কামাল পিতা মৃত তছেরসাং আহম্মদ পুর(১০) উজ্জল ( পথচারী)পিতা মৃত কছিমুদ্দিন সাং কাঠালবাড়ীয়া।
এ বিষয়ে বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতাসহ দুইজনকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাঘা সদরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আবুল হাশেম
রাজশাহী ব্যুরো চীফ
আরও পড়ুন
বুড়িগঙ্গায় লঞ্চ ডুবে ৩৪ জনের মৃত্যুতে বিচার শেষ হয়নি চার বছরেও
সাগরে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত, পাঁচ জেলায় ভূমিধসের শঙ্কা
বঙ্গবন্ধু সেতু (যমুনা সেতু ) ভ্রমণ নিয়ে কিছু কথা