হোম » রাজনীতি » জেলা পরিষদ নির্বাচনেব যাঁরা চেয়ারম্যান হলেন

জেলা পরিষদ নির্বাচনেব যাঁরা চেয়ারম্যান হলেন

আওয়াজ অনলাইনঃ সারা দেশে ৫৭ জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। সোমবার সকাল ৯টায় নির্ধারিত সময়েই ৪৬২টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে একটানা চলে দুপুর ২টা পর্যন্ত। দেশের তিন পার্বত্য জেলা বাদে ৬১ জেলায় এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছিল ইসি। পরে হাই কোর্টের আদেশে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নোয়াখালীর নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়।

ভোলা ও ফেনীর সব পদে প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ফলে, ৫৭ জেলা পরিষদে ভোট হয়েছে। ৫৭ পরিষদের মধ্যে ২৩ জন চেয়ারম্যান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত। যাঁরা সবাই আওয়ামী লীগের প্রার্থী। এ ছাড়া ভোটে ২৪ জন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ থেকে। ৯ জন স্বতন্ত্র ও একজন জাপার প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন চেয়ারম্যান পদে।

ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরপরই প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘জেলা পরিষদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছি। আমরা সন্তুষ্ট। অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোথাও থেকে অনিয়ম, সহিংসতা, গোলযোগ বা গণ্ডগোলের তথ্য আমাদের কাছে আসেনি।’

জেলা পরিষদ নির্বাচনে যেসব চেয়ারম্যানপ্রার্থী জয়ী হয়েছেন। 

নেত্রকোনা : নেত্রকোনার জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী অ্যাডভোকেট অসিত কুমার সরকার সজল (আনারস প্রতীক) ৯৩৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টি সমর্থিত আসমা আশরাফ (প্রজাপ্রতি) পেয়েছেন ২১৯ ভোট।

মেহেরপুর : মেহেরপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ১৭৬ ভোট পেয়ে মেহেরপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর একমাত্র নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক মেহেরপুর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ গোলাম রসুল পেয়েছেন ১১৫ ভোট।

রাজশাহী : রাজশাহী জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বীরমুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল। কাপ-পিরিচ প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৫৯৮ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আক্তারুজ্জামান আক্তার পেয়েছেন ৫৬৬ ভোট। মোটরসাইকেল প্রতীকে লড়ছিলেন তিনি।

রাজবাড়ী : রাজবাড়ী জেলা পরিষদ নির্বাচনে পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী এ কে এম শফিকুল মোরশেদ আরুজ (তালগাছ) প্রতীকে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৪২৮ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী দীপক কুণ্ডু (মোটরসাইকেল) প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৩৮ ভোট।

খুলনা : খুলনা জেলা পরিষদে পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী শেখ হারুনুর রশীদ। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫৩৬ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এমএম মোর্ত্তজা রশিদী দারা চশমা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪০৩ ভোট।

পঞ্চগড় : পঞ্চগড়ে জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুল হান্নান শেখ। তিনি পঞ্চগড় চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চশমা প্রতীক নিয়ে ২৮৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি আবু তোয়াবুর রহমান। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৩১ ভোট।

সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী আলহাজ নজরুল ইসলাম। তিনি পেয়েছেন ৬০৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী খলিলুল্লাহ্ ঝড়ু পেয়েছেন ৪৪৭ ভোট।

নাটোর : নাটোর জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাজেদুর রহমান খাঁন পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। চশমা প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৫৪৮ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টি মনোনীত ঘোড়া প্রতীকের নুরুন্নবী মৃধা পেয়েছেন ২৪৭ ভোট।

মানিকগঞ্জ : মানিকগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট গোলাম মহীউদ্দীন আনারস প্রতীকে ৪৫২ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী (চশমা) কে এম বজলুল হক খান পেয়েছেন ৪২৫ ভোট।

নড়াইল : নড়াইল জেলা পরিষদের নতুন চেয়ারম্যান হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস। তিনি আনারস প্রতীক নিয়ে ২৬০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল আমির। মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ১৭৫ ভোট।

জয়পুরহাট : জয়পুরহাটে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত খাজা সামছুল আলম ২৯৫ ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি আনারস প্রতীক নিয়ে ৩৯১ ভোট পেয়ে পেয়েছেন। তাঁর একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জাসদ সমর্থিত আবুল খায়ের মো. সাখাওয়াত হোসেন তালগাছ প্রতীক নিয়ে ৯৬ ভোট পেয়েছেন।

চুয়াডাঙ্গা : চুয়াডাঙ্গায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহফুজুর রহমান মনজু চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। মোটরসাইকেল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩১২ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আরেফিন আলম রঞ্জু পেয়েছেন ২৪৯ ভোট।

কি‌শোরগ‌ঞ্জ : কি‌শোরগ‌ঞ্জে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. জিল্লুর রহমান বেসরকা‌রিভা‌বে নির্বা‌চিত হ‌য়ে‌ছেন। তি‌নি পেয়েছেন ৯৫৩ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্ব‌ন্দ্বী জাতীয় পা‌র্টির অ্যাডভোকেট মো. আশরাফ উ‌দ্দিন পে‌য়ে‌ছেন ২৫৭ ভোট।

পটুয়াখালী : পটুয়াখালীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ঘোড়া প্রতীকে ৫৮৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত আনারস প্রতীকের খলিলুর রহমান মোহন পেয়েছেন ৪৭১ ভোট।

সুনামগঞ্জ : সুনামগঞ্জে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হলেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নুরুল হুদা মুকুট। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ৬১২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রার্থী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী খায়রুল কবির রুমেন ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ৬০৪ ভোট পান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আল মামুন সরকার ৮২০ পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রার্থী শফিকুল আলম পেয়েছেন ৫৭৭ ভোট।

রংপুর : রংপুর জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত বিদ্রোহী প্রার্থী বীরমুক্তিযোদ্ধা মোছাদ্দেক হোসেন বাবলু। মোটরসাইকেল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৬০১ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত বীরমুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ইলিয়াস আহমেদ পেয়েছেন ৪৮৪ ভোট। তিনি আনারস প্রতীকে লড়ছিলেন।

নীলফামারী : নীলফামারীতে জেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মমতাজুল হক নির্বাচিত হয়েছেন। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৫৩৫ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৩১৮ ভোট।

ফরিদপুর : ফরিদপুরে জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শাহাদাৎ হোসেন (চশমা)। তিনি ৬২৫ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. ফারুক হোসেন। তিনি ভোট ৫৪০ পেয়েছেন।

মাগুরা : মাগুরা জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পঙ্কজ কুমার কুণ্ডু ৩৫৪ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঘোড়া মার্কা প্রতীকের শরীয়ত উল্লাহ হোসেন মিয়া পেয়েছেন ১২৯ ভোট।

ময়মনসিংহ : জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান (আনারস) নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ১৮০ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা জাসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (চশমা) প্রতীকের প্রার্থী আমিনুল ইসলাম পেয়েছেন ৫৩৬ ভোট।

হবিগঞ্জ : হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী ডা. মুশফিক হোসেন চৌধুরী। ৯৬১ ভোট পেয়ে তিনি বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী আবু নাইম মো. শিবলী খায়ের পেয়েছেন ৭৭ ভোট।

চাঁদপুর : চাঁদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে আলহাজ ওচমান গণি পাটওয়ারী মোবাইল প্রতীকে ৭২৮ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের প্রার্থী জাকির হোসেন প্রধানিয়া পেয়েছেন ৫২৩ ভোট।

ফরিদপুর : ফরিদপুরে জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শাহাদাত হোসেন (চশমা)। তিনি ৬২৫ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. ফারুক হোসেন। তিনি ভোট ৫৪০ পেয়েছেন।

নরসিংদী : নরসিংদীতে জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ইশরাত উদ্দিন আহমেদ মনির আনারস প্রতীক নিয়ে ৬২২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও জেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন ভুইয়া কাপ-পিরিচ প্রতীকে ৩৫০ ভোট পেয়ে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন।

গাইবান্ধা : গাইবান্ধা জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (তালগাছ প্রতীক) আবু বকর সিদ্দিক নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ৫৮৩ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আতাউর রহমান সরকার আতা (ঘোড়া প্রতীক) ৫২৩ ভোট পেয়েছেন।

যশোর : যশোর জেলা পরিষদ নির্বাচনে পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের সাইফুজ্জামান পিকুল। তিনি মোট ৯৫৭ ভোট পেয়েছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন আনারস প্রতীকের মারুফ হোসেন কাজল। তিনি পেয়েছেন ৩৪৪ ভোট।

কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. সদর উদ্দিন খান আনারস প্রতীক নিয়ে ৭৩১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গোলাম মহসিন মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২০৪।

চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের এটিএম পেয়ারুল ইসলাম। নির্বাচনে তিনি পেয়েছেন ২ হাজার ৫৬৭ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে নারায়ণ রক্ষিত পেয়েছেন ১২৪ ভোট।

চুয়াডাঙ্গা : চুয়াডাঙ্গায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহফুজুর রহমান মনজু চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। মোটরসাইকেল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩১২ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আরেফিন আলম রঞ্জু পেয়েছেন ২৪৯ ভোট।

গাজীপুর : গাজীপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. মোতাহার হোসেন (মোটরসাইকেল)। তিনি ৩৩০ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন এসএম মোকসেদ আলম (আনারস)। তিনি পেয়েছেন ২৯১ ভোট।

বগুড়া : বগুড়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে ডা. মকবুল হোসেন পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি আনারস প্রতীকে ৮৭৪ ভোট পেয়েছে। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল মান্নান আকন্দ পেয়েছেন ৭২১।

ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৫ ভোট বেশি পেয়ে আনারস প্রতীকের প্রার্থী ড. হারুন অর রশীদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৪৭৮। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত (চশমা) কনক কান্তি দাস পয়েছেন ৪৬৩ ভোট।

এ নির্বাচনে ২৬ জেলায় বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন। জেলাগুলো হলো ফেনী, ভোলা, কুমিল্লা, কুড়িগ্রাম, গোপালগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, জামালপুর, ঝালকাঠী, টাঙ্গাইল, ঠাকুরগাঁও, ঢাকা, নওগাঁ, নারায়ণগঞ্জ, পাবনা, পিরোজপুর, বরগুনা, বরিশাল, বাগেরহাট, মাদারীপুর, মুন্সীগঞ্জ, মৌলভীবাজার, লক্ষ্মীপুর, লালমনিরহাট, শরীয়তপুর, সিরাজগঞ্জ ও সিলেট জেলা।

গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জে জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মুন্সী মো. আতিয়ার রহমান চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

আজকের নির্বাচনে গোপালগঞ্জ জেলার ১ নং ওয়ার্ডে (মুকসুদপুর উপজেলা) রবিউল আলম সিকদার তালা প্রতীকে ১১৯ ভোট পেয়ে সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইকবাল মিয়া উটপাখি প্রতীকে পেয়েছেন ১০২ ভোট। ২ নং ওয়ার্ডে (কাশিয়নী উপজেলা) এস এম কামাল সেলিম তালা প্রতীকে ১০৮ ভোট পেয়ে সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শরীফ সোহরাব হোসেন বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীকে পেয়েছেন ১০২ ভোট।

গোপালগঞ্জে জেলা 
৩ নং ওয়ার্ডে (গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা) আরমান হাফিজ খান টিউবওয়েল প্রতীকে ১৮২ ভোট পেয়ে সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ আবেদ আলী হাতী প্রতীকে পেয়েছেন ৯৫ ভোট। ৪ নং ওয়ার্ডে (কোটালীপাড়া উপজেলা) কামরুল ইসলাম বাদল বক পাখি প্রতীকে ৯৬ ভোট পেয়ে সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দেবদুলাল বসু পল্টু টিউবওয়েল প্রতীকে পেয়েছেন ৫৭ ভোট। ৫ নং ওয়ার্ডে (টুঙ্গিপাড়া উপজেলা) বি এম তৌফিক ইসলাম ঘুড়ি প্রতীকে ৪৬ ভোট পেয়ে সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইমদাদুল হক বিশ্বাস তালা প্রতীকে পেয়েছেন ৩৩ ভোট। এছাড়া সংরক্ষিত ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডে সারমিন নাহার অধরা ২৬৯ ভোট পেয়ে সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তানিয়া হক শোভা পেয়েছেন ১৬৬ ভোট। সংরক্ষিত ৪ ও ৫ নং ওয়ার্ডে শ্রাবণী খানম ১২৪ ভোট পেয়ে সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এমিলি বেগম পেয়েছেন ৭২ ভোট।

সুত্র- এন টিভি

error: Content is protected !!