নদীপথে ক্রেতা বিক্রেতাদের যাতায়াত সুবিধার কারণে ভাসমান এ হাট সরগরম হয়ে ওঠে ভোর থেকেই। চলে সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত। শত বছর ধরে বসছে নাটুয়ারপাড়ার ব্যতিক্রমী এ হাটটি। দূরদূরান্ত থেকে নৌকা যোগে এ ভাসমান পাটের হাটে পাট কেনা বেচা করতে আসেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। নৌকার পাশাপাশি নদীপাড়েও প্রচুর পাট কেনা বেচা হয়। তবে গত কয়েক বছরের তুলনয় এবার পাটের দাম একটু কম । এই জনপ্রিয় বসে সপ্তাহের শনি ও বুধবার।
ভাসমান পাটের হাটে গিয়ে দেখা যায়, কাজিপুরসহ পার্শ্ববর্তী জামালপুরের সরিষাবাড়ি, মাদারগঞ্জ, টাঙ্গাইলের ভূয়াপুর, বগুড়ার ধুনট, শেরপুর ও সারিয়াকান্দির ক্রেতা বিক্রেতারা ভাসমান এই হাটে পাট কেনা-বেচা করতে এসেছেন নৌকা যোগে। তীর থেকে ১শ গজ ফাঁকে নোঙর ফেলে নৌকা থামিয়ে অর্ধশতাধিক নৌকায় কেনা বেচা হচ্ছে পাট। নৌকাতেই হাঁকডাক চলছে। বিক্রেতাদের কাছ থেকে পাট কিনে অন্য নৌকায় উঠিয়ে নিচ্ছেন ব্যাপারিরা। নৌকার পাশাপাশি চরাঞ্চলের একমাত্র পরিবহন ঘোড়ার গাড়িতেও পাট বোঝাই করে স্থানীয় কৃষকরা পাট বিক্রি করতে আসেন।
নাটুয়ারপাড়া ভাসমান পাটের হাটে পাট বিক্রি করতে আসা বগুড়ার সারিয়াকান্দির মোন্নাত হোসেন বলেন, চার বিঘা জমিতে পাটের আবাদ করেছিলেন। ১৬শ থেকে ২১শ টাকা মণ পাট বিক্রি করেছেন। পাটের দাম খুব কম।

ভাসমান হাটে পাট কিনতে আসা জামালপুরের ব্যাপারি হবিবর রহমান বলেন, এখানে পাটের আমদানী বেশী। নৌপথে যাতায়াত খরচ কম তাই এখানে আছি। আজ ৩১২ মণ পাট কিনছি। আগের থেকে অনেক কম দাম। এগুলো আবার নৌকাতেই নিয়ে যাবো।
সারিয়াকান্দির ব্যাপারি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রতি বছরই এ হাটে পাট কিনতে আসি। এখানে দাম কিছুটা কম পাওয়া যায়। যাতায়াত খরচও অনেকা কম।
নাটুয়ারপাড়া হাটের ইজারাদার ও কাজিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেফাজ উদ্দিন মাস্টার বলেন, দূরদূরান্ত থেকে আসা ব্যাপারিরা প্রয়োজনে এখানে থাকতেও পারবেন। আগস্ট থেকে শুরু হয়ে অক্টোবরের শেষ পর্যন্ত এখানে পাটের হাট বসে। প্রতি হাটে ৭ থেকে ৯ হাজার মণ পাট কেনা বেচা হয় বলে তিনি জানান।
এদিকে আইন শৃঙ্খলা ও নৌডাকাতি এড়াতে হাটের দিন যমুনায় পুলিশের বিশেষ টহল থাকে বলে জানিয়েছেন কাজিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল কুমার দত্ত।
আরও পড়ুন
বাইকারদের মুগ্ধ করে এনফিল্ডের ৩ মডেল
অন্ডকোষে আঘাত করে স্বামীকে হত্যার অভিযোগ, স্ত্রী আটক
পোশাকশ্রমিকের মজুরি ২৩ হাজার টাকা করার দাবিতে সমাবেশ