আওয়াজ অনলাইন: বাংলা চলচ্চিত্রের উজ্জ্বলতম নক্ষত্র, বাংলা চলচ্চিত্রের এক অসাধারণ প্রতিভা, বাংলা চলচ্চিত্রের মুকুটহীন রাজা প্রয়াত কিংবদন্তি নায়ক রাজ রাজ্জাকের ৮২তম জন্মদিন আজ। তিনি ১৯৪২ সালে তদানীন্তন অবিভক্ত বাংলার কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন।
তার দীর্ঘ ও বর্ণাঢ্য অভিনয় জীবনে অনেক সিনেমা দর্শক হৃদয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে। তার শিল্পী জীবনে তিনি ৩০০টিরও বেশি মুভিতে অভিনয় করেছেন।
জানা যায়, মন্ঞ্চ নাটকের মধ্যদিয়ে তিনি অভিনয় জগতে পা রাখেন। নায়ক রাজ রাজ্জাক ১৯৫৯ সালে ভারতের মুম্বাইয়ে সিনেমার ওপর ডিপ্লোমা গ্রহণ করেন।
১৯৬৪ সালে কলকাতায় হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা শুরু হলে এক রাতে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে এক হিন্দু পরিবারের বাড়িতে আশ্রয় নেন। পরের দিন ২৬ এপ্রিল পরিবার নিয়ে ঢাকায় চলে আসেন।
ঢাকায় এসে কমলাপুরের ছোট্ট একটি বাসায় মাসিক ৮০ টাকা ভাড়ায় থাকা শুরু করেন। আব্দুল জব্বারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। আব্দুল জব্বার তাঁকে অভিনয়ে নেওয়ার আশ্বাস দেন। পরবর্তীতে সুভাষ দত্ত ও এহতেশামের মতো পরিচালকদের সঙ্গে রাজ্জাকের পরিচয় হয়। ১৯৬৬ সালে ‘ফেকু ওস্তাগার লেন’ চলচ্চিত্রে একটি ছোট চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশি চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে রাজ্জাকের। ৬৭ সালে মুক্তি পায় নায়ক হিসেবে তার প্রথম ছায়াছবি বেহুলা।
নায়ক রাজ রাজ্জাক সর্বশেষ তার বড় ছেলে নায়ক বাপ্পারাজের নির্দেশনায় ‘কার্তুজ’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এই চলচ্চিত্রে তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু প্রয়াত পরিচালক চাষী নজরুল ইসলামও অভিনয় করেছিলেন।
২০১৭ সালের ২১ আগস্ট নায়করাজ চলে যান না ফেরার দেশে।
রাজ্জাক অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘নীল আকাশের নীচে’, ‘ময়নামতি’, ‘মধু মিলন’, ‘পিচ ঢালা পথ’, ‘যে আগুনে পুড়ি’, ‘জীবন থেকে নেয়া’, ‘কী যে করি’, ‘অবুঝ মন’, ‘রংবাজ’, ‘বেঈমান’, ‘আলোর মিছিল’, ‘অশিক্ষিত’, ‘অনন্ত প্রেম’, ‘বাদী থেকে বেগম’ ইত্যাদি।
আরও পড়ুন
টাকার অভাবে বুয়েটে ভর্তি অনিশ্চিত মিরাজের
মোরেলগঞ্জে টিসিবি’র চাল উধাও
চকরিয়া জেনারেল হাসপাতাল ও ট্রমা সেন্টার উদ্বোধন