প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জমি ও রাস্তাকে কেন্দ্র করে ২০১৩ সালের ২১ মে লতাবর এলাকার লুৎফর রহমানের পূত্র ফারুক ও শাহিনদের সাথে একই এলাকার আব্দুর রহমানের পূত্র জাহাঙ্গির সফিকুল রহমানের সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘর্ষে ফারুক ও শাহিনদের হামলায় জাহাঙ্গির শফিকুল রহমান মারা যায়।
এ নিয়ে একটি হত্যা মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। বর্তমানে ওই মামলার স্বাক্ষী চলছে। জাহাঙ্গির শফিকুল রহমানের পুত্র সাজ্জাদ হোসেনের অভিযোগ, ফারুর ও শাহিনরা মামলার স্বাক্ষীদের স্বাক্ষী না দিতে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে।
বিষয়টি জানতে বুধবার বিকেলে পার্শ্ববর্তী ভেলাগুড়ি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মহির আলী কদমতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে গেলে তার উপর হামলা চালায় ফারুক ও শাহিনের লোকজন। এ সময় ২ গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ভেলাগুড়ি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মহির আলী, তার ছোট ভাই কুদরত আলী, একই এলাকার মনছুর আলী, সুরুজ আলী, কাজিমুদ্দিন, সাজ্জাদ, সোহেব, সাদ, রতন, আজিজুল, তাসাবুল, ফুয়াদ, আশরাফুল, কালাম ও সফিকুলসহ উভয় পক্ষে অন্তত ২২ জন আহত হয়েছে। আহতরা স্থানীয়দের সহযোগীতায় উদ্ধার হয়ে হাতীবান্ধা, কালিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
কালিগঞ্জ থানার ওসি মকবুল হোসেন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পুরো বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।