হোম » সাহিত্য » আত্মতৃপ্তি

আত্মতৃপ্তি

বেবি কারফরমাঃ
সবাই আগে যেতে চায়;
জীবনের কঠিন লড়াইয়ের বাস্তবতায়
শিল্পকলায়, আর্থসামর্থ্যে, ক্ষমতায়,
নিত্য প্রতিযোগিতায়।
এভাবেই জীবনের ধাঁধাঁয়
কত কিছুই না হারিয়ে যায়।
প্রথম হওয়ার কত গর্ব, কত প্রশংসা,
জোটে বুদবুদ আত্মতৃপ্তি আর ক্ষনিক সুখ-আশা।
সকলকে পিছিয়ে নিজেই বিশিষ্ট হওয়া;
খোঁজ, খোঁজ, তবে আলেয়ার দেখা পাওয়া।
সময়ের স্রোতে নিজেকে ভাসিয়ে নেওয়া,
আর প্রাপ্তি, পরিচিত-গণ্ডি ছোট হওয়া।
তারপর, তারপর বৃত্তের পরিধি ক্রমাগত
হ্রস্ব হ’তে হ’তে
এসে ঠেকে নিজের অবস্থান একটি বিন্দুতে।
তখন একা, আর কেউ থাকে না সাথে
নিজেকে ঈশ্বর/ঈশ্বরী ভেবে ধুপ দেওয়া প্রাতে ।
দুর্লভ কিছু পাওয়ার আশায়
কেবল বুদ নেশায় ;
পারি দেয় দুর্গম পথে, নির্জন গুহায়,
অথবা মেঘেঢাকা পাহাড়ের চূড়ায়
কেবল প্রথম হওয়ার দুঃসাহসিকতায় ।
জীবনের নির্মম পরিহাসে হায়
ভেসে গিয়ে সবাই প্রথম হতে চায় ।
শয়নে-স্বপনে ব্যস্ত, কী হ’বে উপায়,
শ্রেষ্ঠত্বের আসন এই বুঝি হারায়।
দিনশেষে সাফল্যের চূড়ায়
অনেক স্তাবক জোটে, তবু যেন সংশয়
মনে থাকে একাকিত্বের বেদনা আর বিস্ময়।
রোগ ব্যাধি জরা সকলি ভুলায়,
আপনার আপনি মিশে যায় ধুলায় ।
বছরের পর বছর আসে ফিরে
কাকলির কলতানে সুখী পাখিরা ফেরে নীড়ে
আত্মস্তুতিতে শুধু মানুষ রয়ে যায় ভীড়ে,
তাই আঁখির পাতার কার্নিশের নোনা পাহাড় চিরে
স্বপ্নের মরীচিকাগুলো পূর্ণ হয় নিরে ।
এসো বিদেশী বছর, নিয়ে দুহাজার বাইশ
অবসরে ঝুলিটা দেখো, রাখা আছে কিছু ফরমাইস
“অপরের মুখ্যর কাছে যেন গৌণ হয় আমার আয়েস
প্রজ্বীলিত দীপে ঘৃত কোরো সব অশুভের রেশ ”
গ্রহণ করো, মন্থনে ফেলে যাওয়া মানবিকতার পায়েস।

error: Content is protected !!