হোম » সাহিত্য » শত কোটি টাকার মালিক হতে চেয়েছি !

শত কোটি টাকার মালিক হতে চেয়েছি !

শাহজাহান শিরাজ সবুজঃ কিছু অপ্রাসঙ্গিক কথা – বাড়ির কাছে একাধিক সিনেমা হল থাকায় ছোট বেলায় খুব বেশি সিনেমা দেখতাম। সিনেমার নায়কদের মতো নিজেকে ভাবতাম। সিনেমার প্রভাব ভালোভাবেই আমার উপর পড়েছিল। তাই মনে মনে আল্লাহকে বলতাম, আল্লাহ আমাকে এমন শক্তি দাও, আমি যেনো একাই সিনেমার নায়কদের মতো ২০/৩০ জনের সাথে লড়াই করতে পারি। আল্লাহ আমাকে সেই শক্তি না দিয়ে শ্বাসকষ্ট দিলো। এতে করে লড়াই করার শক্তি কমে গেলো। যদিও ছোট বেলায় আমি কথায় কথায় মারামারি করতাম। অবশ্য বেশিরভাগ মারামারি বন্ধু- বান্ধবের জন্য করেছি।

শিল্পাঞ্চলে বাড়ি হওয়ায় কৈশোরেই রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ি। তাই আল্লাহর কাছে মনে মনে কতো প্রার্থনা করেছি, আল্লাহ আমাকে এমপি, মন্ত্রী বানিয়ে দাও। আল্লাহ আমাকে মেম্বারও বানায়নি। তবে নেতা বানিয়েছিলেন, যার মাশুল আজো দিচ্ছি।

যৌবনে মনে মনে মাধুরি দীক্ষিতের স্বামী হতে চেয়েছি। আল্লাহ আমার সেই আশাও পূর্ণ করেননি।

বয়স যখন ৪০ পেরোলো, তখন মনে মনে শত কোটি টাকার মালিক হতে চেয়েছি। আল্লাহ সেই আশা পূর্ণ না করে কর্ম ক্ষমতা কমিয়ে দিলো। আল্লাহ হয়তো বলছে, এবার ‘হ’ শত কোটি টাকার মালিক।

অধিক খেতে পারতাম বিধায় বন্ধু মোঃ কামাল হোসেন আমার নাম দিয়েছিলেন, খাদক মোহাম্মদ ভাই। এটা ডাক্তার বেটার সহ্য হলো না, তাই ডাক্তার আমাকে বললেন, পটল, ঝিঙা, চিচিঙ্গা, লাউ, লাল শাক, ভাত, রুটি আর দৈনিক ৩০ গ্রামের বেশি প্রোটিন খেতে পারবি না। তাও আবার ইলিশ সহ সামুদ্রিক মাছ, গরুর মাংস, খাসি মাংস, ফার্মের মুরগীর মাংস খেতে পারবি না। এর বাইরে দুনিয়ার সব খাবার নিষিদ্ধ করে দিলো। গত ছয় মাস যাবত্ এভাবেই চলছে।

জীবনের একপর্যায়ে এসে জীবন থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আল্লাহ কাছে প্রার্থনা করলাম, আল্লাহকে আমাকে একটা কঠিন রোগ দাও। এবার আল্লাহ আমাকে নিরাশ করে নাই। শোকরিয়া আল্লাহর দরবারে। প্রথমে ভেবেছিলাম চিকিৎসা করাবো না। অনেকটা তাই করেছি। শেষে ভেবে দেখলাম, এখনো কিছু কিছু দায়িত্ব পালন বাকি আছে। এইসব দায়িত্ব পালন না করে পরপারে চলে গেলে শান্তি পাবো না। তাই ডাক্তারের শরণাপন্ন হলাম।

এদিকে ডাক্তার বেটা বললো, ইনশাআল্লাহ সব ঠিক হয়ে যাবে। হয়তো সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু আমি তা……..×!

error: Content is protected !!