মোহাম্মদ খোরশেদ হেলালী, কক্সবাজার : ঘূর্ণিঝড় হামুনের কারণে সৃষ্ট ঝড়ো বাতাসে কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় গাছপালা ভেঙে পড়ায় বিদ্যুতের খুঁটি ও সঞ্চালন লাইনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর ফলে মঙ্গলবার রাত ৮টা থেকে বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে পুরো কক্সবাজার।
এ সময় কক্সবাজার শহরের পাহাড়তলী এলাকায় দেয়াল চাপা পড়ে একজন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
এর আগে হামুনের প্রভাবে সকাল থেকেই কক্সবাজারে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। সন্ধ্যা ৭টা থেকে ভারী বৃষ্টি ও বাতাস শুরু হয়। এতে গাছপালা উপড়ে ও ডালপালা ভেঙে পড়তে থাকে। এরপরই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে পুরো জেলা।
বিদ্যুৎ না থাকায় টেলিযোগাযোগসেবাও বিঘ্নিত হচ্ছে। অধিকাংশ এলাকায় বন্ধ রয়েছে মোবাইল ইন্টারনেট। এ ছাড়া সন্ধ্যা থেকে মোবাইল নেটওয়ার্কেও জটিলতা দেখা দেয়।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল কাদের গণি জানান, ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে গাছপালা ভেঙে পড়ায় বৈদ্যুতিক খুঁটিসহ বিভিন্ন সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে।
মঙ্গলবার ২৪ অক্টোবর রাতে কক্সবাজারের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় হামুন এর তান্ডবে ৩ জন নিহত এবং শতাধিক লোক আহত হয়েছেন।
তারমধ্যে, কক্সবাজার পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব পাহাড়তলী জিয়া নগর এলাকার মৃত খুইল্ল্যা মিয়ার পুত্র মোহাম্মদ আবদুল খালেক (৪০) দেওয়াল চাপা পড়ে নিহত হন। নিহত মোহাম্মদ আবদুল খালেক মাছ ব্যবসায়ী এবং ২ সন্তানের পিতা।
নিহত আরেকজন হচ্ছেন, চকরিয়ার বদরখালী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আসকর আলী (৫০)। হামুন এর তান্ডবে তিনি গাছ চাপা পড়ে নিহত হন। নিহত আসকর আলী বদরখালী কৃষি উপনিবেশ সমবায় সমিতির সদস্য।
মহেশখালীতে হারাধন নামক আরো একজন মাটি চাপা পড়ে নিহত হলেও তার বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি। এছাড়া, কক্সবাজার জেলায় মঙ্গলবার রাতে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় হামুন এর তান্ডবে শতাধিক লোক আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ভ্যাটিকান রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
হাতীবান্ধা এস এস একাডেমির জার্সি উন্মোচন ও চাইনিজ টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত
আলফাডাঙ্গায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে একাধিক ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেয়ার অভিযোগ