হোম » প্রধান সংবাদ » শ্রমিকের মজুরী কর্তন বন্ধ ও ঝুকি ভাতা ঘোষণার দাবী- সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের

শ্রমিকের মজুরী কর্তন বন্ধ ও ঝুকি ভাতা ঘোষণার দাবী- সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের

আলমগীর হোসেনঃ লকডাউন কালিন ঈদের ছুটির পরের দিন গুলে কে সাধারন ছুটি ঘোষনা করা, শ্রমিকের মজুরী কর্তন না করা, কোন শ্রমিক কে চাকুরীচ্যূত করা যাবে না ও শ্রমিকদের ঝুঁকি ভাতা ঘোষনার আহবান।

সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি জনাব নাজমা আক্তার ও সাধারন সম্পাদক নাহিদুল হাসান নয়ন এক যুক্ত বিবৃতিতে পোশাক শ্রমিকদের লকডাউনে গনপরিবহন বন্ধ, কারখানা খোলা শ্রমিকদের হয়রানী, দুর্ভোগ অতিরিক্ত অর্থ ব্যায় ও শ্রমিক ছাটাই পরিস্থিতিতে গভির উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

মালিকদের অনুরোধে হঠাৎ লকডাউন চলাকালিন সময়ে গন-পরিবহন বন্ধ থাকা অবস্থায় গত ৩০/০৭/২০২১ ইং তারিখ প্রজ্ঞাপন জারি করে গত ০১/০৮/২০২১ইং তারিখ রপ্তানিমুখী সকল শিল্প ও কল-কারখানা বিধি-নিষেধের আওতা বহির্ভূত রাখা হয়। কিন্তু গন-পরিবহন বন্ধ অবস্থায় ১লা আগষ্ট রপ্তানিমুখী সকল শিল্প ও কল-কারখানা চালু করার কারনে শ্রমিকরা করোনা ঝুঁকির মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকায় কাজে যোগদানের জন্য চরম ভোগান্তি নিয়ে অতিরিক্ত অর্থ খরচ করে কারখানায় কাজে যোগদান করেন।

লকডাউন চলাকালিন জরুরী রপ্তানীর প্রয়োজনে কর্মরত শ্রমিক বা কর্মচারীদের ঝুঁকিভাতা ঘোষনা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, যাতায়ত ব্যবস্থা, করোনা টিকা প্রদানের নিশ্চিয়তা প্রদানের জোর দাবী জানানো হয়। বিভিন্ন কারখানা ইতির মধ্যে জেনারেল ডিউটি করার প্রস্ততি নেয়া হয়েছে অবিলম্ভে তাহা প্রত্যাহারের দাবীতে  নিম্নে আট দফা দাবী দেওয়া দেন।

আট দফা দাবীঃ 

১. কঠোর ‘‘লক ডাউন’’ সময়কালে শ্রমিকদের জন্য স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থাপনায় শ্রমিকদের আনা-নেওয়া নিশ্চিত করতে হবে।
২. কঠোর ‘‘লক ডাউন’’ সময়কালে যে সকল শ্রমিক ও কর্মচারীগন ঝুঁিক নিয়ে কারখানায় কাজ করছে সে সকল শ্রমিকদের ঝুঁিকভাতা ঘোষনা করতে হবে।
৩. কোন কারখানায় জেনারেল ডিউটি বা ছুটি সমন্বয় করা যাবে না।
৪. সকল সম্মুখ সারীর পোশাক শ্রমিক ও কর্মচারীদের জন্য করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য টিকা মালিকদের প্রদান করতে হবে ।
৫. কর্মস্থলে শ্রমিকদের প্রবেশ বা বাহির হওয়ার সময় কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি ও কাজের স্থানে ৩ফিট দুরত্ব কার্যকর করার ব্যবস্থা গ্রহন করতে প্রয়োজনীয় পরির্দশন বা মনিটরিং ব্যবস্থা কার্যকর করতে হবে।
৬. এই মুহূর্তে কোন অযুহাতে শ্রমিকদের চাকুরীচ্যূত করা যাবেনা, কারখানা লে-অফ বন্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।
৭. সকল শ্রমিকদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু করার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন ও নির্দেশনা প্রদান করতে হবে।
৮. যে সকল মালিকগন স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা ও স্বাস্থ্য বিধি অমান্য করে কারখানা চালু করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করে তাদের কারখানা সিলগালা করে দিতে হবে।

error: Content is protected !!