হোম » প্রধান সংবাদ » লালমনিরহাটে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেলো ফরজেনা খাতুন

লালমনিরহাটে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেলো ফরজেনা খাতুন

মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ, লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি: লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেলো ৯ম শ্রেণির স্কুল ছাত্রী ফরজেনা  খাতুন (১৬)। আজ বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে আদিতমারী উপজেলার পলাশী ইউনিয়নের মদনপুর গ্রামে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে বাল্যবিয়ে বন্ধ করেন আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আদিতমারী উপজেলার মদনপুর গ্রামের ফজলুল হকের ৯ম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে ফরজেনা খাতুনের বাল্যবিয়ের আয়োজন করে পরিবার। এমন একটি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ নিয়ে ওই বাড়িতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন। পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেয়ে কৌশলী পরিবার বাল্যবিয়ের কনে ফরজেনাকে সড়ায়ে তার আত্মীয় এক গৃহবধূকে নববধূ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়।

কিন্তু ভ্রাম্যমান আদালত তদন্ত করে প্রকৃত কনে ফরজেনা খাতুনকে সনাক্ত করে কনের মা আফরোজাকে আটক করেন। মেয়ের বাল্যবিয়ের কথা স্বীকার করলে কনের মা আফরোজা বেগমের ১০হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন ভ্রাম্যমান আদালত। প্রাপ্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিবে না মর্মে মেয়ের মা আফরোজা বেগম ভ্রাম্যমান আদালতকে মুচলেকা প্রদান করেন।

আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের বলেন, প্রথম দিকে স্কুল ছাত্রীকে গোপনে রেখে তার এক আত্মীয়কে বিয়ের শাড়ি পড়িয়ে ভ্রাম্যমান আদালতে উপস্থাপন করেন। পরে তদন্তের সময় তারাই বাল্যবিয়ের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলে মুচলেকা নিয়ে মেয়ের মায়ের ১০হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

Loading

error: Content is protected !!