হোম » প্রধান সংবাদ » দিরাই পৌরসভার ভরারগাঁও গ্রামে নৌকা প্রতীকের সমর্থনে বিশাল জনসভা সম্পন্ন

দিরাই পৌরসভার ভরারগাঁও গ্রামে নৌকা প্রতীকের সমর্থনে বিশাল জনসভা সম্পন্ন

আল-হেলাল,সুনামগঞ্জ থেকে : সুনামগঞ্জের দিরাই পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে আওয়ামীলীগ মনোনিত মেয়র প্রার্থী বিশ^জিৎ রায় বিশ্বসুসম উন্নয়নের লক্ষ্যে আগামী ২৮ ডিসেম্বরের নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোটদানের জন্য দিরাই পৌরবাসীর প্রতি উদাত্ত আহবাণ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, দিরাই-শাল্লার জন্মগত জনপ্রতিনিধি জাতীয় নেতা সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত এমপির হাত ধরে বিগত দিনে সাবেক জনপ্রিয় মেয়র আজিজুর রহমান বুলবুল দিরাই পৌরসভাকে সি ক্যাটাগরী হতে বি ক্যাটাগরীতে উন্নীত করে উন্নয়নের মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন করেছিলেন। গত ৫ বছরে তার পরিকল্পনাকে এগিয়ে নেয়ার জন্য নির্বাচিত মেয়র কোন উদ্যোগই গ্রহন করেননি।

 

তাই নির্বাচিত কাউন্সিলর হওয়ার পরও উন্নয়নের রোডম্যাপ সম্পর্কে আমরা পৌরপরিষদও অবগত ছিলামনা। নৌকা নিয়ে নির্বাচন করে দলের মেয়র হয়ে অন্যদলকে এবং দলের বিরোধী লোকদেরকে যারা বেশী ফায়দা দিয়ে নিজের আখের গুছাতে চেয়েছেন আমি সেইরকম প্রার্থী বা মেয়র হতে চাইনা। আমি দলের লোকদেরকে সম্মান দেওয়ার পাশাপাশি সকল দলমতের মানুষকে নিয়ে পৌরবাসীকে সুষম উন্নয়ন দিতে চাই। আমার কাছে কে
আওয়ামীলীগ আর কে বিএনপি সেটা বড় কথা নয় সকলকে সমান উন্নয়ন দেয়াই আমার নির্বাচনী অঙ্গীকার।

 

আগে উন্নয়ন করা হয়েছে ১নং ওয়ার্ড থেকে ৯নং ওয়ার্ডে। আমি প্রয়োজনে ৯নং ওয়ার্ড থেকে ১নং ওয়ার্ডে উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু করবো এবং চালিয়ে যাবো। বিশেষ করে বিগত সময়ে উন্নয়ন বৈষম্যের স্বীকার হয়েছে যেসকল এলাকা সেসব ওয়ার্ডে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ শুরু করবো। জননেত্রী ড.জয়াসেন গুপ্তা এমপির সঠিক দিক নির্দেশনায় সাবেক মেয়র আজিজুর রহমান বুলবুল সাহেবের অসমাপ্ত সকল কাজ সম্পন্ন করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নেবো। ১৮ ডিসেম্বর শুক্রবার রাতে দিরাই থানার ভরারগাঁও গ্রামে বিশাল নির্বাচনী জনসভায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বিশ্বজিৎ রায় বিশ্ব একথা বলেন।

 

বিশিষ্ট মুরুব্বী অমরু মিয়ার সভাপতিত্বে এবং সৈয়দ আহমদ দুলাল ও রুহুল আমিন শুভ এর যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখেন সাবেক মেয়র আওয়ামীলীগ নেতা আজিজুর রহমান বুলবুল,উপজেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি এডভোকেট সোহেল আহমদ ছইল মিয়া,ফখর উদ্দিন,যুগ্ম সাধারন সম্পাদক লুৎফুর রহমান এওর মিয়া,আওয়ামীলীগ নেতা সিরাজউদ্দৌলা, আওয়ামীলীগের সাবেক মনোনয়ন প্রত্যাশী আসাদ উল্লাহ,দিরাই উপজেলা যুবলীগ সভাপতি রঞ্জন কুমার রায়,

 

দিরাই সরমঙ্গল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার,আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি সাংবাদিক বাউল আল-হেলাল,উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোহন চৌধুরী,দিরাই বাজার মহাজন সমিতির সভাপতি মোঃ কামাল উদ্দিন,আওয়ামীলীগ নেতা মেরাজ মিয়া,সাবেক কাউন্সিলার শাহজাহান সরদার,দিরাই পৌর যুবলীগের সাধারন সম্পাদক জুয়েল মিয়া,মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড সভাপতি রাহাত মিয়া, ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি শেখুল ইসলাম, রাজানগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি ছাদিকুর রহমান,সাধারন সম্পাদক গোলাপ মিয়া,যুবলীগ নেতা আজাদ মিয়া,উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি পারভেজ রহমান,

 

আওয়ামীলীগ নেতা কাইয়্যুম মিয়া,শামীম মিয়া,ছাত্রলীগ নেতা সৌরভ মিয়া,উপজেলা বাস্তুহারা লীগের সাধারন সম্পাদক সৈয়দুর রহমানসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। সভায় মেয়র প্রার্থী বিশ^জিৎ রায় বিশ^র কাছে বিভিন্ন দাবীদাওয়া সংবলিত স্মারকলিপি প্রদান করেন হাবিবুর রহমান হাবিব। সভায় বাউল গান পরিবেশন করেন বাউল শিল্পী নুরুল ইসলাম ভিখারী,সাংবাদিক বাউল আল-হেলালসহ স্থানীয় শিল্পীবৃন্দ। সভায় সুনামগঞ্জের পঞ্চরত্ন বাউলের মধ্যমণি গানের সম্রাট বাউল কামাল পাশার জনপ্রিয় গান নৌকা আগে আগে চলেরে ঐ নৌকাটা শেখ মুজিবের”শীর্ষক বিখ্যাত গানটি পরিবেশন করা হয়।

 

দিরাই পৌরসভার সাবেক মেয়র আজিজুর রহমান বুলবুল বলেন,নিজের পকেটের টাকায় দিরাই পৌরভবনের জন্য ৫২ শতক জায়গা ক্রয় ও ৩ একর জায়গা পানি শোধনাগারের জন্য অধিগ্রহন এবং হোল্ডিং এর টাকা নিজের পকেটের টাকা ব্যয়ের মাধ্যমে দিরাই পৌরসভাকে সি ক্যাটাগরী থেকে বি ক্যাটাগরীতে উন্নীত করার পাশাপাশি আগামী ৫০ বছরের কেমন পৌরসভা হবে দিরাই এ ভাবনাকে সামনে রেখে জাতীয় নেতা সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত এমপির সহযোগীতা ও সমর্থনে আমি উন্নয়নের জন্য মাস্টারপ্ল্যান করে গিয়েছিলাম।

 

কিন্তু গত ৫ বছরে এই পরিকল্পনাকে এগিয়ে নেয়ার জন্য কেউ কোন প্রচেষ্টা গ্রহনতো দুরের কথা নির্বাচিত মেয়র নিজের আখের গুচাতে তৎপর ছিলেন। তিনি বলেন,বিশ^জিৎ রায় বিশ^ কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র হিসেবে অসম্ভব আন্তরিক দক্ষ ও সৎ ছিল। তাকে নির্বাচিত করলে পৌরবাসী অবশ্যই উপকৃত হবেন। এডভোকেট সোহেল আহমদ ছইল মিয়া বলেন,নৌকা দিয়েছেন জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ড.জয়াসেন গুপ্তা এমপির হাতকে শক্তিশালী করার জন্য এবং পৌরবাসীর উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য নৌকাকে এবার বিপুল ভোটে বিজয়ী করতে হবে।

 

রঞ্জন রায় বলেন,আমি দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়ে নির্বাচন করেছিলাম। তখনকার নির্বাচনে বিএনপি ছিলনা। আমরা সকল প্রার্থীরাই ছিলাম একই দলের। এ কারনে তখনকার প্রেক্ষাপট আর বর্তমান প্রেক্ষাপট ভিন্ন। এখন নির্বাচনে একাধিক প্রার্থী নিয়ে বিএনপি প্রতিদ্বন্দিতা করছে। তাই আমরা যারা আওয়ামীলীগ,যুবলীগ ও ছাত্রলীগ তাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে জননেত্রী শেখ হাসিনা মনোনিত একক প্রার্থী বিশ^জিৎ রায়ের পক্ষে।

 

ইনশাল্লাহ সকল বিভেদ ভূলে গিয়ে আমরা দিরাই পৌর নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে নৌকাকে বিজয়ী করবো। সাংবাদিক বাউল আল-হেলাল বলেন,আমি এবং রফিক সর্দার আমরা ২ বন্ধু মিলে সর্বপ্রথম দিরাই পৌরসভা বাস্তবায়নের জন্য আন্দোলন শুরু করেছিলাম। একপর্যায়ে আমার গ্রামকে বাদ দিয়ে পৌরসভা বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছিল। তখন আমার দাবীর প্রেক্ষিতে জাতীয় নেতা সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত এমপি ভরারগাঁও গ্রামকে দিরাই পৌরসভার অন্তর্ভূক্ত করেছেন।

 

তিনি জানতেন এই গ্রামে সবসময় তিনি কম ভোট পান তারপরও আমাকে পুত্রের মতো  স্নেহ করতেন বিধায় আমার অনুরোধ তিনি উপেক্ষা করতে পারেননি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন সর্বপ্রথম দিরাই সফর করেন তখন চন্ডিপুর নিবাসী নেজাবত আলী,আব্দুর রউফ,আব্দুল কদ্দুছসহ মোট ১১জন নেতাকর্মীর সমন্বয়ে দিরাই থানা আওয়ামীলীগের সর্বপ্রথম কমিটি গঠন করে দেন বঙ্গবন্ধু। সেই সময় এই ১১জনের কমিটির সর্বকনিষ্ট ও সর্বশেষ সদস্য ছিলেন আমার পিতা এস.এন.এম মাহমুদুর রসুল সাহেব।

 

ঐ সময় দিরাই থানায় আওয়ামীলীগের সাথে দুতিনটি হাতেগোনা সনাতন পরিবার সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। তাদের মধ্যে একজন ছিলেন বিশ^জিৎ রায়ের পিতা প্রভাত মেম্বার কাকা। তাই বিশ^জিতের রক্তে আওয়ামীলীগের মূলধারার রাজনীতির ঐতিহ্য আছে। জননেতা সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত এমপির ঋন পরিশোধের জন্য আমার নিজ গ্রাম ভরারগাঁও গ্রামবাসীকে আমি সবিনয় অনুরোধ করবো এইবার

Loading

error: Content is protected !!