হোম » শিরোনাম » পোশাক শিল্পের সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে বাণিজ্যমন্ত্রি

পোশাক শিল্পের সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে বাণিজ্যমন্ত্রি

আওয়াজ অনলাইন: বাংলাদেশে বিদেশে রপ্তানি করার মতো কোনো পণ্য ছিলো না। ১৯৭১ সালে স্বাধীন হওয়া দেশটি ক্ষুদা, দারিদ্রের সাথে সংগ্রাম করেছে বহুকাল। ১৯৮০’র দশকে বাংলাদেশে তৈরি পোশাক শিল্প ব্যাপকভাবে আলোড়ন তৈরি করে। লাভজনক ব্যবসায় হিসেবে বিদেশে পণ্যের চাহিদাও বেশি থাকায় বাংলাদেশি অনেক উদ্যোক্তা পোশাক শিল্পের বিকাশে কাজ করে। তারই ধারাবাহিকতায় তৈরি পোশাক শিল্পে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে দ্বিতীয় স্থান দখল করে আছে।

আজ বুধবার (২৫ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রাইমার্কের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পাউল মার্চেন্ট’র নেতৃত্বে বাংলাদেশে সফররত যুক্তরাজ্যভিত্তিক বিশ্বখ্যাত তৈরি পোশাক ব্র্র্যান্ড প্রাইমার্ক অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েট’র প্রতিনিধি দলের সাথে মতবিনিময়কালে এ আহবান জানান।

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

টিপু মুনশি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ পৃথিবীর মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। বাংলাদেশের ৪০ লাখের বেশি শ্রমিক তৈরি পোশাক শিল্পে কর্মবান্ধব পরিবেশে কাজ করছে। এর মধ্যে প্রায় ৬৫ ভাগই নারী শ্রমিক।

তিনি আরো বলেন, গতবছর ৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের তৈরি পোশাক বাংলাদেশ রপ্তানি করেছে, ২০৩০ সালে এ রপ্তানির পরিমান ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে ‘আমরা কাজ করছি’।হচ্ছে, পণ্যের মান এবং ডিজাইন আধুনিক করা হচ্ছে।

টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশে তৈরি পোশাক শিল্পে কিছু বিদেশি দক্ষকর্মী ছিল, এখন আমাদের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দক্ষ কর্মীরাই কাজ করছে। শিল্প বিকাশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।

পরে বাণিজ্যমন্ত্রী সচিবালয়ে তাঁর অফিস কক্ষে জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গানাইজেশন’র (জেট্রো) প্রেসিডেন্ট কাজুশিক নোবুতানির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সাথে মতবিনিময় করেন।

error: Content is protected !!