হোম » শিরোনাম » আনারস মার্কার মিটিং করায় ঘড়-বাড়ি ভাংচুর ও বৃদ্ধাকে মারপিট

আনারস মার্কার মিটিং করায় ঘড়-বাড়ি ভাংচুর ও বৃদ্ধাকে মারপিট

মোঃ ফারুক হোসেন,রুহিয়া (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি: শুক্রবার রাতে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ২০ নং রুহিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের কড়ালিপাড়া গ্রামে নির্বাচনী সহিংসতায় নিজ বাড়িতে হামলার শিকার হয়ে আহতবস্থায় কাঁদতে কাঁদতে বিধবা বৃদ্ধা গোলাপী বেওয়া(৭০) বলেন,

মিটিং টা শেষ করে (মুই চেয়ারলা জড়াছিনু) চেয়ারগুলো গোছাচ্ছিলাম। (ওমনি গুন্ডালা বাড়িত ঢুকেহেনে চেয়ার, টেবিল আর বাড়ির বেড়ালা ভাঙ্গিবা ধরিচে) তখনই আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনীগুলো এসে এলোপাথাড়ি চেয়ার টেবিল সহ ঘড়-বাড়ি গুলো ভাংচুর শুরু করে। (মুই আটকাবা যাহেনে মোক ধাক্কা দে ফেলায় দিল আর কোমরটাত চেয়ারলা দেহেনে মারে তিন খান চেয়ার ভাঙ্গিল গে বাপু।) আমি থামাতে গেলে আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে ৩-৪ টা চেয়ায় ভেঙ্গে দিয়ে কমড়ের মধ্যে এলোপাথাড়ি মারতে থাকে।( মুই এলা বেড়াবা পারুনা) এখন আমি ঠিকমত হাটতে পারিনা।

এ হামলায় এই পরিবারে আরও তিন জন হামলার শিকার হয়ে আহত হয়েছেন। তারা হলেন ওই বৃদ্ধার দুই ছেলে আলাল ও দুলাল এবং বৃদ্ধা নাতনি ৮ম শ্রেণির ছাত্রী জেলি আক্তার।

বৃদ্ধার বড় ছেলে আলাল জানান, আমার বাসায় আনারস প্রতীকে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আনসারুলের খুলি বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিলো। এর আগে আমাকে নৌকার প্রার্থীর লোকজন হুমকি দিয়ে আসছিলো যেনো খুলি বৈঠক না করা হয়। তাদের নিষেধ অমান্য করে খুলি বৈঠক করায় আমার মা সন্তান ভাই সহ সবাইকে হামলার শিকার হতে হলো। এটা কোন দেশে বাস করছি আমরা। প্রার্থীরা তো ভোটারদের সাথে বৈঠক করতেই পারে।

আহত স্কুল ছাত্রী জেলি আক্তার জানান, ওরা আমাকেও ছাড় দেয়নি। আমাকে দরজার সাথে ধাক্কা দিলে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। আর কিছু বলতে পারিনা।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থী আনছারুল ইসলাম খুলি বৈঠক শেষ করে সকলের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে যান। এমন সময় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অনিল কুমার সেনের সমর্থকরা ৪০ থেকে ৫০ জন এসে এ অতর্কিত হামলা চালায়। এখানে তারা নারী শিশু সহ আরও ১০ জনকে মারধর করে এবং চেয়ার সহ ঘরের আসবাপপত্র ভাঙচুর করে। তিনি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, এই যদি হয় সুষ্ঠু নির্বাচনের নমুনা তাহলে আমরা ভোটাররা নিরুপায়।

এ বিষয়ে নৌকা মার্কার প্রার্থী অনিল কুমার সেন এর কাছে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ভাংচুরের বিষয়টা এটা সঠিক না, ওদের অবস্থান ভালো না থাকায় নিজেরা ভাংচুর করে অন্যের উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।

রুহিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ চিত্ত রঞ্জন রায় বলেন, হামলার খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক পুলিশ সেখানে যায়। গিয়ে দেখে চেয়ার ভাঙচুর করা হয়েছে। কে বা কারা এমন হামলা চালিয়েছে তা খুঁজে বের করতে পুলিশের অভিযান চলছে। কোন লিখিত অভিযোগ পেলে এবং তদন্ত স্বাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্তা গ্রহণ করা হবে।

পরদিন শনিবার এ হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে ও সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আনছারুল হক।

error: Content is protected !!