হোম » শিরোনাম » পীরগঞ্জে হিন্দু-মুসলিমদের মাঝে সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি রক্ষায় মতবিনিময় সভা

পীরগঞ্জে হিন্দু-মুসলিমদের মাঝে সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি রক্ষায় মতবিনিময় সভা

হারুন উর রমিদ সোহেল,রংপুর:  রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় ধর্মীয় উস্কানীমূলক পোস্ট দেয়ার জেরে হিন্দু পল্লীতে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় রংপুর বিভাগের প্রশাসনের সব ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এখন পীরগঞ্জে অবস্থান করছেন। তারা হিন্দু-মুসলিমদের মাঝে সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি রক্ষায় এলাকাবাসীর সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন।

সোমবার দুপুরে উপজেলার রামনাথপুর ইউনিয়নের বড় করিমপুর কসবা হিন্দু জেলে পল্লীতে মতবিনিময় সভা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল ওয়াহাব ভুইয়া, পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য্য ও জেলা প্রশাসক আসিব আহসান।

এদিকে রবিবার রাত থেকেই রংপুরের পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার পীরগঞ্জে অবস্থান করছেন। মতবিনিময় সভা শেষে বড় করিমপুর কসবা মাঝিপাড়ায় সাম্প্রদায়িক হামলার শিকার পরিবারগুলোর মাঝে সরকারি সহায়তা চাল, শাড়ি, লুঙ্গি এবং কম্বল দেওয়া হয়েছে। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিরোদা রানী রায়, অফিসার ইনচার্জ সরেস চন্দ্র, রামনাথপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাদেকুল ইসলাম বিএসসি, রংপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান রনিসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

রংপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (ডি-সার্কেল) কামরুজ্জামান বলেন, স্থানীয় এক কিশোরের বিরুদ্ধে ফেসবুকে ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগের পর রোববার এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ তার বাড়ির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারলেও দূরে বেশকিছু বাড়িঘরে আগুন ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। তবে এখন পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ বিষয়ে রংপুরের পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার জানান, প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেফতার না করা পর্যন্ত আমি এলাকায় থাকবো। ইতিমধ্যে ৪২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

রংপুর বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল ওয়াহাব ভুইয়া জানান, আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় কাজ করছি। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদেরকে সরকারি সহায়তা দেওয়া হয়েছে এবং আরও দেওয়া হবে। এদিকে সোমবার সকালে রংপুর জেলা ও পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যাগে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে নগদ অর্থ ও ত্রাণ বিতরণ করা হয়। এসময় রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিয়ার রহমান সফি, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি একেএম ছায়াদত হোসেন বকুল, অধ্যাপক মাজেদ আলী বাবুল, সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. রেজাউল করিম রাজু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন মওলা, মিঠাপুকুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন সরকার, পীরগঞ্জ পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজিমুল ইসলাম শামীম প্রমুখ।

এর আগে মহানগর ও জেলা, পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

error: Content is protected !!