সৈয়দ আহসান (প্রবাস প্রতিনিধি)ঃ বেশ কদিন আগে ইউরোপীয় ভোটের পর ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ আগাম পার্লামেন্ট নির্বাচন করতে বাধ্য হন। ভবিষ্যতে ফরাসি সংসদ কাদের দ্বারা পরিচালিত হবে এ নিয়ে বর্তমান সরকার মহা বিপদে পড়েছিল। তাই এই আগাম নির্বাচন।এক নজরে ভোটের প্রথম রাউন্ডের মানচিত্রে দেখা যায় প্রচন্ড রক্ষণশীল আরএন দল যা মেরিন লেপেনের দল নাম পরিচিত। এ রা এবারকার নির্বাচনে সবচেয়ে বেশী এগিয়ে রয়েছে।
প্রাথমিক গণনার ফলাফল অনুযায়ী, ডানপন্থী জাতীয়তাবাদী সমষ্টিগত আন্দোলন “রেসেম্বলমেন্ট ন্যাশনাল” (আরএন) প্রথম দফার ভোটের পরে স্পষ্টতই এগিয়ে রয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মেরিন লে পেনের আরএন পার্টি ও তার মিত্ররা ৩৫ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পেয়েছে। আরএন নিজেই ২৯.৩ শতাংশ ছিল। বামপন্থী জোট “নুভাউ ফ্রন্ট পপুলায়ার” (এনএফপি/ইউজি) ২৭.৯৯ শতাংশে এসেছে। প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁকে ঘিরে কেন্দ্রের ‘এনসেম্বল’ শিবিরটি মাত্র ২০.০৪ শতাংশ ভোট পেয়েছে।
এদিকে ফ্রান্সের রক্ষণশীল দল “লেস রিপাবলিকেনস” (এলআর) এর আরেক নেতা এরিক সিওটি নির্বাচনের রাতে সমস্ত রক্ষণশীলদের মেরিন লে পেনের আরএন এর সাথে তার বহুল সমালোচিত জোটে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। মেরিন লেপেনের পক্ষ থেকে বর্তমান ফ্রান্সের অধিক জনপ্রিয় প্রধান মন্ত্রী পদ প্রত্যাশি ২৮ বছর বয়সী বারডেলা। দলের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে প্রধানমন্ত্রীর পদ প্রত্যাশী এই ২৮ বছর বয়সী বারদেলা বলেন, তিনি ‘সব ফরাসি জনগণের প্রধানমন্ত্রী’ হতে চান। তিনি এমন একজন সরকার প্রধান হতে চান যিনি “সংবিধানকে সম্মান করবেন তবে তার একগুঁয়েমি থেকেই যাবে।
আরও পড়ুন
যুদ্ধ বন্ধে হামাসের নতুন মত, মূল্যায়ন করছে ইসরায়েল
আজ যুক্তরাজ্যে সাধারণ নির্বাচন
কবিমনে বর্ষা ভাবনা