মোহাম্মদ খোরশেদ হেলালী: টেকনাফে অপহরণের পর খুনের শিকার তিন বন্ধুর মরদেহ আগুন দিয়ে পুড়ে ফেলার চেষ্টা করেছিলো অপহরণকারীরা। গ্রেপ্তার দুই অপহরণকারীর স্বীকারোক্তি বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে র্যাব।
এই ঘটনা নিয়ে বৃহস্পতিবার র্যাব ১৫ কক্সবাজার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন এসব তথ্য জানান র্যাব ১৫ অধিনায়ক লে: কর্ণেল সাইফুল ইসলাম সুমন।
এর আগে বুধবার (২৪ মে) টেকনাফ হাবিব ছড়া গহীন পাহাড় থেকে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটকরা হলেন, ছৈয়দ হোসন ওরফে সোনালী ডাকাত ও এমরুল।
র্যাব ১৫ অধিনায়ক তিনি বলেন, তারা তিন বন্ধু মিলে টেকনাফ পাত্রী দেখতে গেলে গাড়ি থামিয়ে তাদের অপহরণ করা হয়। তাদের পরিবারের অভিযোগ পেয়ে অভিযানে নামে র্যাব। তথ্য প্রযুক্তি সহায়তাই দুইজনকে আটক করে। আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী তাদের সাথে নিয়ে টেকনাফ দমদ মিয়া এলাকার গহীন পাহাড় থেকে তিন বন্ধুর মরদেহ গুলো উদ্ধার করা হয়। তিন বন্ধুর মরদেহ নিশ্চিহ্ন করতে ডাকাতদল আগুন ধরিয়ে দেয়।
তিনি আরও জানান, মরদেহ গুলো যেখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে সেখানে মানুষের সমাগম নেই। ডাকাত দলের লোকজন বারবার সিম পরিবর্তন করার কারণে তাদের সনাক্ত করতে একটু সময় হয়েছে।
গ্রেপ্তার দুইজন প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেন, তারা এই কাজে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত। বিত্তশালীদের টার্গেট করে এসব অপহরণ করতেন তারা। দিনের বেলায় এই চক্রের সদস্যরা লোকালয়ে এসে সাধারণ মানুষের ছদ্মবেশ ধরে থাকতেন। রাতের বেলায় পাহাড়ে গিয়ে তাদের নির্যাতন করতো। যারা টাকা দিতে ব্যার্থ হয় তাদের মাটির মধ্যে পুঁতে রাখা হতো।
আরও পড়ুন
টেন্ডারে অনিয়মসহ একাধিক অভিযোগে সাময়িক বহিষ্কার বশেমুরবিপ্রবি’র ভারপ্রাপ্ত প্রকল্প পরিচালক
তাড়াশে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান কারাগারে