হোম » অপরাধ-দুর্নীতি » মুক্তিযোদ্ধাদের চাপে পড়ে নিজের অপর্কম ঢাকতে বক্তব্য প্রত্যাহর করলেন ভুয়া বি সি এস ক্যাডার বকুল।

মুক্তিযোদ্ধাদের চাপে পড়ে নিজের অপর্কম ঢাকতে বক্তব্য প্রত্যাহর করলেন ভুয়া বি সি এস ক্যাডার বকুল।

মারুফ বিল্লাহ রুবেল: সাতক্ষীরা শ্যামনগরে মুক্তিযোদ্ধাদের চাপে পড়ে নিজের অপর্কম ঢাকতে বক্তব্য প্রত্যাহর করলেন ভাটা বকুল। শ্যামনগর অবৈধ কাজ করে অনেক বার সমলোচনায় আসেন ভাটা বকুল। 
গত (১২ মার্চে)  সিদ্দিকুল ইসলাম বকুলের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। সেখানে উপজেলা পর্যায়ের সাংবাদিক নেতা ও সাংবাদিকদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছেন। তিনি সাংবাদিকদের পোষেণ বলেও দাবি করেছে। যদিও সাংবাদিক নেতারা এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করে আসছেন।
এছাড়া  মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিসৌধ নির্মাণে ২ লক্ষ টাকাও দিয়েছেন এবং স্মৃতিসৌধ নাকি তার টাকায়  বলেও দাবি করেছেন।এদিকে এই ঘটনায় শ্যামনগর সাংবাদিক ঐক্যের নেতারা মানববন্ধন করেছিল। সেখানে বকুলের অবৈধ ডাম্পার ট্রাক ও ইট ভাটা বন্ধের দাবি জানালে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনের লোকজন সেই ডাম্পর ট্রাক ও ইটভাটার বন্ধের অভিযান চলাবে বলে জানান। তার টাকায় স্মৃতিসৌধ নির্মাণ হয়েছে বলায় শ্যামনগর মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেন।
গত শনিবার রাতে আবারও আলোচনায় আসেন ইট ভাটা বকুল। তিনি স্মৃতিসৌধ নির্মাণে ২ লক্ষ টাকাও দিয়েছেন বলে যে বক্তব্য দেন তা প্রত্যাখান করে।  নিজের ফেসবুক আইডি দিয়ে ভিডিও বক্তব্য বলেন,আমি সিদ্দিকুল ইসলাম বকুল শ্যামনগর মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধ নির্মাণে আমি কোন টাকা প্রদান করি নাই।
এ দিন সারারাত জেগে র্জানি করে ঢাকা থেকে শ্যামনগর ফিরি শাররীক ও মানসিক ভাবে ক্লান্ত ছিলাম ফলে রাগ্নিত অবস্থায় মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধ স্থম্ভ নিয়ে ভুল তথ্য দিয়েছি।আমার বক্তব্য প্রত্যাহর করছি। এটা সকলকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টি দেখার জন্যে অনুরোধ করছি।
শ্যামনগর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধার সাবেক কমান্ডার দেবীরন্জন বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সামনে বসে বকুল তার বক্তব্য প্রত্যাহার করেছে এবং লিখিত দিয়েছে এজন্যে তাকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছে।
শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আক্তার হোসেন বলেন, সিদ্দিকুল ইসলামের কোন টাকা স্মৃতিসৌধ নেই এটা সে মিথ্যা বলেছ। এর জন্যে বকুল তার বক্তব্য প্রত্যাহার করেছে।
error: Content is protected !!