হোম » অপরাধ-দুর্নীতি » কিশোরগঞ্জে মৃত ৫ জন জিনসেং মিশানো রেক্টিফায়েড স্পিরিট পান করেছিলেন

কিশোরগঞ্জে মৃত ৫ জন জিনসেং মিশানো রেক্টিফায়েড স্পিরিট পান করেছিলেন

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে দুই আওয়ামী লীগের নেতাসহ পাঁচজনের মৃত্যুর ঘটনায় আট দিনেও মামলা হয়নি থানায়। মৃত্যুর কারণ সম্পর্কেও জানাতে পারেনি পুলিশ।
তবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, ওই পাঁচজন রেক্টিফায়েড স্পিরিটের সঙ্গে কথিত শক্তিবর্ধক বা ‘জিনসেং’ মিশিয়ে ভেজাল মদ তৈরি করে পান করেছিলেন।
তাতেই মৃত্যু হয়েছে তাঁদের। স্থানীয় একজন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ভেজাল মদের সঙ্গে জিনসেং মিশিয়েছিলেন। তিনি নিজেও পান করে বিষক্রিয়ায় মারা গেছেন।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিপ্তরের (ডিএনসি) ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক জাফরুল্যাহ কাজল বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ভেজাল মদ নয়, রেক্টিফায়েডের সঙ্গে জিনসেং মিশিয়ে পান করেছিলেন ওই পাঁচজন।
তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার আগে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে না। মৃত ব্যক্তিরা হলেন কুলিয়ারচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন ও জহির রায়হান জজ, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক গোবিন্দ বিশ্বাস, রিকশাচালক শাহজাহান মিয়া ও চা দোকানি লিটন মিয়া।
১৪ থেকে ১৬ জানুয়ারির মধ্যে মারা যান তাঁরা। ডিএনসির সহকারী পরিচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, কিশোরগঞ্জ স্টেশন রোডের হোমিও চিকিৎসক সত্যেন্দ্র চন্দ্র সরকারেরই কেবল একটি রেক্টিফায়েড স্পিরিট বিক্রির লাইসেন্স ছিল। তিনি মারা যাওয়ার পর তাঁর ছেলে বছরখানেক আগে লাইসেন্সটি জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অফিসে জমা দেন। এর বাইরে জেলায় কারও এ লাইসেন্স নেই।
আওয়ামী লীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন, জহির রায়হানসহ কয়েকজন ১৪ জানুয়ারি রাতে তাতারকান্দি গ্রামের সৌদিপ্রবাসী মো. রাসেলের বাসায় আড্ডায় বসেন।
সেখান থেকে তাঁরা বাড়ি ফিরে অসুস্থ হন। পরদিন রিকশাচালক শাহজাহান বাড়িতে মারা যান। এরপর গিয়াস উদ্দিন, জহির রায়হান, গোবিন্দ বিশ্বাস ও চা দোকানি লিটনের মৃত্যু হয়।
পাঁচজনের মৃত্যুর বিষয়ে কেউ এখন পর্যন্ত অভিযোগ করেনি বলে জানিয়েছেন কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ।
error: Content is protected !!