হোম » অপরাধ-দুর্নীতি » বগুড়ার ধুনটে সাদ্রাসার ছাত্রীর শ্লীনতাহানী ও ধর্ষন চেষ্টার আসামীকে পালিয়ে যেতে সহযোগীতা পুলিশের বিরুদ্ধে

বগুড়ার ধুনটে সাদ্রাসার ছাত্রীর শ্লীনতাহানী ও ধর্ষন চেষ্টার আসামীকে পালিয়ে যেতে সহযোগীতা পুলিশের বিরুদ্ধে

এম,এ রাশেদ,বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ
বগুড়ার ধুনটে মাদ্রাসার ছাত্রীকে শ্লীনতাহানী ও ধর্ষনের  চেস্টার অভিযোগ দেওয়ার দুই দিনে পুলিশ মামলা রেকর্ড করেনি। তদন্তের নামে মোটা অংকের ঘুষ নিয়ে আসামীকে পালিয়ে যাওয়ার সহযোগীতার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার  উপজেলার ধুনট সদর ইউনিয়নের চালাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।নির্যাতনের শীকার ওই ছাত্রীর বাবা বলেন, আমার ১১ বছরের মেয়ে স্থানীয় একটি হাফিজিয়া মাদ্রসায় পড়াশুনা করে। সে ইতিমধ্যেই ১৮ পাড়া কোরআনের হেফজ করেছে। একটি বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য মাদ্রাসা থেকে ছুটি নিয়ে ৪ থেকে ৫ দিন আগে বাড়িতে এসেছে। গত শনিবার (১৪ই মে) দুপুরে প্রতিবেশী ওসমানগনির ছেলে দুই সন্তানের জনক গেদা আকন্দ আমার অবুঝ মেয়েকে আম খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে তার ঘরের ভিতর নিয়ে যায়। এরপর গেদা আকন্দ আমার মেয়েকে জোরপুর্বক জাপটাইয়া ধরে শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়া শ্লীনতা হানী ঘটায় এবং ধর্ষন করার চেষ্টা করে। এসময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গিয়ে আমার মেয়েকে উদ্ধার করে। আসামী গেদা আকন্দ কেটে পড়ে।

এঘটনায় শনিবার দুপুরে ধুনট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। আমি ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালাকে অভিযোগটি মামলা হিসাবে রেকর্ড করে আসামীকে গ্রেফতারের জন্য অনুরোধ করি। ওসি আমার অবুঝ মেয়ের নিকট থেকে ঘটনার বিবরণ শোনার পর তিনি অভিযোগটি রেকর্ডভুক্ত না করে এসআই মোঃ মতিউর রহমানকে তদন্ত করার জন্য নির্দেশ দেন। এসআই মোঃ মতিউর রহমান ওই দিন বিকাল আনুমানিক ৩ টার দিকে সরেজমিনে তদন্ত করতে আসেন। স্থানীয় লোকজন ও আমার মেয়েকে  আসামীর রসানল থেকে উদ্ধার করা স্বাক্ষীরাও স্বাক্ষ্য দেন। এরপর এসআই মোঃ মতিউর রহমান আসামী গেদা আকন্দকে তার ঘরের ভিতর ডেকে নিয়ে প্রায়  ৪৫ মিনিট গোপন আতায়াত করে মোটা অংকের ঘুষ নিয়ে গ্রেফতার না করে আসামীকে পালিয়ে যেতে সহযোগীতা করেন।

তখন আমি নিরুপায় হয়ে সন্ধ্যায় স্থানীয় গন্যমান্য লোকজন নিয়ে থানায় গিয়ে বিষয়টি  অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালাকে জানাই এবং আমার মেয়ের শ্লীনতাহানী ও ধর্ষন চেষ্টার আসামীকে গ্রেফতার করার জন্য আবারও অনুরোধ করি। কিন্ত  অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমার অনুরোধ টুকুও রক্ষা করেন নি। ওই ছাত্রীর বাবা আরো জানান, বিষয়টি নিয়ে রোববার  সকাল থেকে এলাকার বিভিন্ন গন্যমান্য ব্যক্তিদের দ্বারস্থ হই। অবশেষে ধুনট উপজেলার ভাইচ চেয়ারম্যান মোঃ মহসিন আলমকে জানাইলে তিনি সংবাদ কর্মীদের ডেকে সংবাদ সম্মেলন করার পরামর্শ দেন। আমি সাংবাদিকদের জানাইলে রোববার দুপুরে কয়েকজন সাংবাদিক ঘটনাস্থলে সরেজমিনে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পান।

এরপর পুলিশের টনক নড়ে এবং ধুনট থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোঃ রাজ্জাকুল ইসলাম সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করেন। এবিষয়ে এসআই মোঃমতিউর রহমান তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মামলা রেকর্ড না হওয়ায় আসামী গ্রেফতারের কোন আইন নাই তাই আমি আসামী গ্রেফতার না করে শুধু তদন্ত করেছি। বিষয়টি অধিকতর তদন্তের জন্য আমি ওসি স্যারকে জানিয়েছি। ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, এসআই মতিউর রহমান কি করেছে তা আমার জানা নাই। তবে মাদ্রাসার ছাত্রীর শ্লীনতাহানী ও ধর্ষনের চেষ্টার বিষয়টি মামালা রেকর্ড করার জন্য বিভিন্ন মহলের তদবির থাকায় অধিকতর তদন্তের জন্য ইন্সপেক্টর (তদন্ত)মোঃ রাজ্জাকুল ইসলামকে তদন্ত করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইন্সপেক্টর( তদন্ত) মোঃ রাজ্জাকুল ইসলাম বলেন, রোববার সরেজমিনে তদন্ত  কওে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে । আসামীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

error: Content is protected !!