রায়হানুল ইসলাম, বগুড়া প্রতিনিধিঃ বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে ক্রয়কৃত জমি কর্নিবাড়ী ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসা কর্তৃক জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা। ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী মহিদুল ইসলাম। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়,উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের বড় কুতুবপুর গ্রামের মোঃ আবুল সরকার এর দুই ছেলে মোঃ মোমিনুল ইসলাম ও মহিদুল ইসলামের ক্রয়কৃত ২৮ শতক জমি যাহার দাগ নং ১০৭৮,খতিয়ান নং ১০৮৮,দলিল নং ২৭৪০, মৌজা কুতুবপুর।
সে দির্ঘদিন যাবত ভোগদখল করিয়া আসিতেছে। কর্নিবাড়ী ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসা যমুনা নদী ভাঙ্গণের কবলে পরলে স্থানান্তর করে কুতুবপুর শান্তি নগর এলাকায় অল্প কিছু জমি ক্রয় করে উক্ত মাদ্রাসাটি নতুন করে স্থাপন করা হয়। এবিষয়ে মহিদুল ইসলাম জানান আমাদের দুই ভাইয়ের নামে উল্লেখিত ২৮ শতক জমি আমরা দির্ঘদিন যাবত ভোগদখল করিয়া আসিতেছিলাম। আমার জমির সাথেই কর্নিবাড়ী ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসা হওয়ায় কোন ফসল ফলাতে পারছিনা।বর্তমানে আমার ক্রয়কৃত ২৮ শতক জমি মাদ্রাসা দখল করে ঘর নির্মাণ করার চেষ্টা করলে আমি আমার জমি উদ্ধারের জন্য সেখানে গেলে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আজাহার আলী ও গভর্নিং বডির সভাপতি ফরহাদ হোসেন আমাকে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভিতি ও হুমকি ধামকি প্রদান করেন। তাই আমি আমার জমি উদ্ধার ও ন্যায়বিচারের জন্য গতকাল ৮/১১/২০২০ ইং তারিখে সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রাসেল মিয়ার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
বিষয়টি নিয়ে সরে জমিনে গিয়ে অত্র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ আজাহার আলীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন অত্র মাদ্রাসা নদী ভাঙ্গণের কবলে পড়লে স্থানান্তর করে এখানে কিছু জমি ক্রয়করে মাদ্রাসা নির্মাণ করা হয়।পরবর্তীতে কুতুবপুর গ্রামের আব্দুস সামাদ সরকারের ছেলে পিন্টু মিয়াকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে এই জমি নেওয়া হয়েছে।বর্তমানে আবুল সরকারের ছেলে মহিদুল ইসলাম এসে বলে এই জমি আমার।আমরা তাকে বলেছি দলিল পত্র নিয়ে আসেন বসেন আলাপ আলোচনা সাপেক্ষে একটা সমাধানের ব্যাবস্থা করবো বলে তিনি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন
ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রিয় সমম্বয়কদের সাথে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন সহ সুশীল সমাজের মতবিনিময়
ইউনুছ হালিমা দাখিল মাদ্রাসার আয়োজনে ঈদে মিলাদুন- নবী উদযাপন
ফুলবাড়ীতে বালু ভর্তি ট্রাক্টর থেকে ৩০০ বোতল ফেন্সিডিলসহ ২ মাদক কারবাররি আটক