সুজাতা দাস
যখন পা দিলে প্রথম মা এই ধরার মাটিতে, কঠিন কী লেগেছিল আলতা রাঙানো পায়ে,
অনুভব কী করেছিলে কত দূর্গার রক্ত মিশে আছে এই মাটিতে।
যে অসুর বধ করে তুমি মহিষাসুর মর্দিনী, আজ কেন মাগো সেই দূর্গার কোনও অসুর সংহারের ক্ষমতাই আর রাখনি তার কাছে।
কেন হারে তিন থেকে সত্তর সব দূর্গা, কেন সংহার করতে না পেরে অভয়ার মতো হেরে যায়-
কেন সুবিচার পায়না আজকের দূর্গা।
তোমার আগমনে খরচ হচ্ছে কোটি কোটি টাকা, তুমি কী অনুভব করেছ এই টাকার কারনেই মুছে গেছে হয়তো আজ কোনও দূর্গার সিঁথির সিঁদুর।
অনুভব কী করেছিলে মাগো পিতৃহারা সন্তানের বেদনা যা তার প্রাপ্য ছিলনা-
তোমার কাপড় আর গয়নার চমকে হয়তো ঢাকা পরলো আজ কোনও স্বামীহারা স্ত্রীর সাদা থান,তাঁদের স্বজন হারানোর ব্যথা, এরপর হয়তো তোমার আগমনী ওদের ব্যথা দেবে প্রতিনিয়ত।
তুমি যদি সকলের মা, জগত্ জননী তবে কেন কাঁদে না তোমার মন সেই সন্তান দের জন্য যাঁদের আজ তোমার আগমনের সময় ও একটা নতুন জামা জোটেনি, জোটেনি একমুঠো ভাত ধোঁয়াওঠা।
কাজ করে চলেছে হয়তো চা বা খাবারের দোকানে অহর্নিশি হয়তো কাগজ কুড়াচ্ছে সকাল থেকে।
অন্তত এইটুকু অনুভূতি নিয়ে এসো তুমি পরের বছর তোমার সন্তান যেন এই কটা দিন অভুক্ত আর অনাদরে না থাকে।
গায়ে নতুন জামা আর একমুঠো অন্ন তাঁদের জন্য রেখ মা জগত্ জননী অন্নপূর্ণা না হলে এই নাম মিছে হবে মাগো।
সবার মঙ্গল কোরো সবাইকে ভালো রেখ কোনও দূর্গা যেন আর অকালে না ঝরে পরে এই আশীর্বাদ রেখ মর্তের দুর্গার জন্য।
লেখক: সুজাতা দাস, কলকাতা, ভারত।
আরও পড়ুন
পদ্মা সেতু উদ্বোধন : ডোমার উপজেলা পরিষদ হলরুমে বড়পর্দায় সরাসরি সম্প্রচার
দাগনভূঞায় প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ
জীবননগর গোয়ালপাড়ার নাজমুল ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ আটক