হোম » সারাদেশ » বিধ্বংসী রূপে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’!

বিধ্বংসী রূপে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’!

আওয়াজ অনলাইন: আসছে বিপর্যয়! আরব সাগরে তৈরি হয়েছে নতুন ঘূর্ণিঝড়। যার নাম বিপর্যয়। নামটি আবার বাংলাদেশের দেয়া। ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় ধেয়ে আসছে উপকূলের দিকে। তবে কোন উপকূলে এটি আঘাত হানতে সেটি এখনো পরিস্কার হয়নি। তবে, বিপর্যয় আছড়ে পড়তে পারে ভারতের গোয়াতে। আবহাওয়াবিদদের ধারণা, বিধ্বংসী রূপ নিতে পারে এই সাইক্লোন বিপর্যয়।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ দক্ষিণ পূর্ব আরব সাগরে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের উৎপত্তি হয়েছে। যা ক্রমশই গোয়া উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এটি প্রবল থেকে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। তীব্র গতিতে ছুটে আসছে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়। আরব সাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের জেরে এই ঝড়ের গতিপথ মুম্বাই ও কোঙ্কন উপকূলের দিকে।

দিল্লির আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়় তৈরি হওয়ার পর সেটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। ঝড়ের গতি হতে পারে ঘণ্টায় ৫৫ কিলোমিটারেরও বেশি। আরব সাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপটি মঙ্গলবার সকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ছিলো গোয়া থেকে ৯২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে। মুম্বাই থেকে ১১২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে।

ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আরও শক্তিশালী হয়েছে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়। এটি পূর্ব মধ্য এবং দক্ষিণ পূর্ব আরব সাগরে অবস্থান করছে। মঙ্গলবার মধ্যরাত আড়াইটে নাগাদ এটি গোয়া থেকে প্রায় ৯০০ কিলোমিটার দূরে ছিলো। মুম্বাই থেকে প্রায় ১০২০ কিলোমিটার এবং গুজরাটের পোরবন্দর থেরে ১০৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল বিপর্যয়।

আরব সাগরে উৎপন্ন এই সাইক্লোনটির নাম বিপর্যয় রেখেছে বাংলাদেশ। তবে কেবলমাত্র ভারতই নয়, এই সাইক্লোনের গভীর প্রভাব পড়তে পারে পাকিস্তানের করাচিতেও। বর্তমানে করাচি থেকে ১৩৮০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে বিপর্যয় ঘূর্ণিঝড়। বুধবার রাতের পর থেকে হাওয়ার গতিবেগ বাড়তে শুরু করবে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া অফিস।

১১৫ থেকে ১২৫ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে। উত্তর কেরালা, কর্নাটক, গোয়া উপকূলে মূলত তাণ্ডব চালাবে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়। ৮-৯ জুন এই সাইক্লোন আছড়ে পড়তে পারে। এর গতিবেগ হার মানাতে পারে মাত্র তিন সপ্তাহ আগে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় মোকার গতিকেও। আমফান কিংবা ফণীর থেকেও বেশি গতিসম্পন্ন হতে পারে বিপর্যয়।

বুধবার দিনভর ঝোড়ো হাওয়া থাকবে মহারাষ্ট্র, গোয়া এবং গুজরাট উপলক্ষে। এদিন হাওয়ার গতিবেগ থাকবে ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার। আরব সাগরের পশ্চিম মধ্য এবং দক্ষিণ পূর্ব উপকূলে দমকা হাওয়া বইবে। বুধবার সন্ধ্যার পর থেকেই বিপর্যয়ের প্রভাব পড়তে শুরু করবে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমের রাজ্যগুলিতে।

ভারতের আবহাওয়া অফিম জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের ফলে ভারতে বর্ষার আগমনে দেরি হবে। এক জুনের বদলে বর্ষা ঢুকতে পারে চার জুন। তবে চার জুন চলে গেলেও বর্ষা আসার নাম নেই। এই পরিস্থিতিতে বিপর্যরের কারণে দেরি হবে বর্ষার আগমনে। পশ্চিমবঙ্গে জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে বর্ষা ঢোকে। তবে স্বভাবিকভাবেই এবার দেরি হবে। ফলে বজায় থাকবে তাপপ্রবাহ।

error: Content is protected !!