হোম » সারাদেশ » জয়পুরহাটে সাথী ফসল চাষে উদ্বুদ্ধ করতে মাঠ দিবস 

জয়পুরহাটে সাথী ফসল চাষে উদ্বুদ্ধ করতে মাঠ দিবস 

জয়পুরহাটপ্রতিনিধি: জয়পুরহাটে বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটের আয়োজনে আধুনিক প্রযুক্তিতে লাভজনকভাবে আখের সাথে সাথী ফসল চাষাবাদ শীর্ষক মাঠ দিবস  অনুষ্ঠিত হয়েছে।
 সকাল ১০টায় জয়পুরহাট সুগার মিলের পশ্চিম পার্শ্বে হাতিল ফকিরপাড়াতে বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটের আয়োজনে বিএসআরআই উপকেন্দ্র ও আখের সঙ্গে সাথি ফসল হিসেবে ডাল, মসলা ও সবজি-জাতীয় ফসল উৎপাদন প্রকল্পের অর্থায়নে এটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইন্সটিটিউট।
জয়পুরহাটের উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ইনচার্জ শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক মহাপরিচালক ড. এ বি এম মফিজুর রহমান।
এসময়  উপস্থিত ছিলেন জয়পুরহাট সুগার মিলস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক, আখলাছুর রহমান, মহা ব্যবস্থাপক (কৃষি), তারেক ফরহাদ, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, সাইফুল ইসলাম, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম    বিএসআরআই, ঈশ্বরদী, পাবনা।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, আখ বিক্রির জন্য সময়মতো পুঁজি না পাওয়া, পোকার আক্রমণে আখ নষ্ট হলেও কীটনাশক না পাওয়া, আখ চাষে অন্যান্য ফসলের চেয়ে সময় বেশি লাগা, বিক্রির পর সময়ের টাকা অসময়ে পাওয়া, দাম কমের কারণে লাভ কম- এসব কারণে দিন দিন আখ চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন চাষিরা।
এ জন্য আখের সঙ্গে সাথি ফসল হিসেবে ডাল, মসলা ও সবজি-জাতীয় ফসল উৎপাদন প্রকল্পের মাধ্যমে আখ চাষে বিমুখ কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে মাঠে কাজ করছে বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট। এতে এখন লাভের মুখ দেখছেন আখ চাষিরা। ৯৫ জন কৃষককে আখের সাথে সাথী ফসল হিসেবে সহযোগিতা করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে কৃষক নুর আলম বলেন, নিজের ৫০ শতাংশ জমিতে প্রথম সাথি ফসল হিসেবে বাধা ও ফুলকপি, টমেটো, কাঁচা মরিচ, বেগুন এখন দ্বিতীয় সাথি ফসল হিসেবে হলুদ লাগানো হচ্ছে।
কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, ৫০ শতাংশ জমিতে সাথি ফসল হিসেবে ১ম রসুন, গুটি পেঁয়াজ, আলু চাষে ভালো ফলাফল পাওয়ায় দ্বিতীয় সাথি ফসল হিসেবে মুগ ডাল বপন করা হয়েছে। এবার সাথি ফসল হিসেবে রসুন ৪ মণ ৩১ কেজি, পেঁয়াজ ৫ মণ ২৭ কেজি, পাকরী আলু ২৭ মণ পেয়েছেন বলে জানান।
ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, আখের সঙ্গে সাথি ফসল হিসেবে ডাল, মসলা ও সবজি-জাতীয় ফসল উৎপাদন প্রকল্পের আওতায় এবার ৯৫ জন চাষিকে সার, বীজ, কীটনাশক, সেচ সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে।
error: Content is protected !!