ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) কর্মঘন্টা কমিয়ে ৬ ঘন্টা,চাকরির বয়স সীমা বৃদ্ধিসহ ৩ দফা দাবিতে লাগাতার আন্দোলনরত কর্মকর্তারা প্রশাসনকে আলোচনা না করে সরাসরি বাস্তবায়নের ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দ্বিতীয় দিনের মত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে সকাল ১০টা থেকে কর্মকর্তাদের ৩ দফা দাবি সরাসরি বাস্তবায়নে কর্মবিরতি ও প্রতিবাদ সভা পালন করছেন।
তাদের ৩ দফা দাবিগুলোর মধ্যে ছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত উপ-রেজিস্ট্রার বা সমমানদের বেতন স্কেল ৫০ হাজার টাকা (গ্রেড-৪), সহকারী রেজিস্ট্রার বা সমমানদের বেতন স্কেল ৩৫ হাজার ৫ শত টাকা (গ্রেড-৫), অফিস সময় সূচি পূর্বের ন্যায় সকাল ৮ টা হতে দুপুর ২ টা পর্যন্ত নির্ধারণ এবং চাকুরীর বয়সসীমা ৬০ বছরের পরিবর্তে ৬২ বছর বহাল রাখার দাবি করেছেন।
জানা যায়, ইতোমধ্যে কর্মকর্তাদের চাকরির বয়স ৬২ বছর দাবিটি সিন্ডিকেটে সুপারিশ করা হয়েছে এবং মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে প্রেরিত হয়েছে। বেতন স্কেলের দাবিটি বাস্তবায়নের জন্য সিন্ডিকেট কর্তৃক গৃহীত হয়েছে এবং বাস্তবায়নের নীতিমালা প্রণয়নে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কিন্তু কর্মকর্তারা তৃতীয় দাবিটি কর্ম ঘন্টা কমিয়ে ৬ ঘন্টা করাসহ তিনটি দাবিই ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রশাসনকে আলোচনা না করে সরাসরি বাস্তবায়নের আলটিমেটাম দিয়েছে। এছাড়া দাবি বাস্তবায়ন না হলে গাছের নিচে বসে না থেকে প্রশাসন ভবনের নিচ তালায় বসে আন্দোলন করা, এবং তিনজনকে (উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ট্রেজারার) অফিসে ঢুকতে দিবে না বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে।
এবিষয়ে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা সমিতির মহাসচিব এবং ইবি কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমি আর আপনাদের সাথে কোনো সাক্ষাতে যাবো না। এসময় তার বিরুদ্ধে ভিসিকে প্রাণ নাশের যে অভিযোগ উঠছে তা তিনি নাকচ করে বলেন, আমি জনগনের জন্য রাজনীতি করি, তবে এ কাজ করতে গিয়ে যদি ভিসি কেন তার চেয়ে শক্তিধর কাওকে হুমকি প্রদর্শন দেয়া লাগলে দিবো। উপাচার্য মহাদয় আপনি কথায় কথায় বলেন, চাকরি খেয়ে নিবো, মনে রাখবেন আমাদের চাকরি গেলে আদালত আছে, আপনার চাকরি গেলে কোনো আদালত নাই।
এই সমাবেশ থেকে আপনাকে পরিস্কারভাবে বলতে চাই, একটা কর্মকর্তার ফাইল ধরে যদি হাত দেন, বা ফাইল টানেন বা বদলি করেন তাহলে আপনার ফাইল কিন্তু সুষ্ঠ থাকবে না, বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা ফেডারেশনের পক্ষ থেকে আপনার ফাইলও টানা হবে। আপনার ফাইল টানলে কিন্তু আর ঠেকানোর ক্ষমতা থাকবে না। তিনি বলেন, যারা এই প্রশাসনের দালালি করবেন, তারা কেউ এডিশনাল এবং কেউ ভারপ্রাপ্তও হতে পারবেন না। আপনাদেরকে আমরা প্রয়োজনে ক্যাম্পাসে ঢুকতে দিবো না। তারপর যা হয় হবে। তিনি রেজিস্ট্রারকে জনতার কাতারে যোগ দেয়ার আহব্বান জানান।
প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবর রহমান বলেন,‘ কর্মকর্তা সমিতির দাবী থাকতেই পারে, আন্দোলন করাও তাঁদের অধিকার আছে, তবে এর অর্থ লাগামহীন বক্তব্য নয়। ইবি পরিবারের সমাদৃত বর্তমান উপাচার্য মহোদয় সম্পর্কে অনভিপ্রেত বক্তব্য দূর্ভাগ্যজনক।’বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. রাশিদ আসকারী বলেন,‘সরকারী নিয়মনীতিকে সমুন্নত রেখে যেকোন যৌক্তিক দাবির প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আন্তরিক, তবে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ব্যবস্থা গৃহীত হবে। আমি প্রত্যাশা করি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবে।’
আরও পড়ুন
যশোরের চৌগাছায় ইয়াবা সহ মাদক বিক্রেতা আটক
গাসিক ও বিডি ক্লিনের যৌথ উদ্যোগে পরিছন্নতা কার্যক্রম শুরু
ধুনটে বিদ্যুতের খুঁটি সাথে বেঁধে গ্রাম পুলিশকে মারপিট,অভিযোগে গ্রেফতার ৩