স্থানীয় ও কারখানা সুত্রে জানা যায়, জেলা শহর ছাড়াও আশপাশের পাবনা, নাটোর, বগুড়া, টাঙ্গাইল জেলাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে গরু ও মহিষের হাড় প্রতি কেজি ১৫ টাকা দরে সংগ্রহ করা হয়। হাড়গুলো মেশিনের সাহায্যে গুড়া করে ২৫ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হয়। প্রতি মাসে হাড়ের গুড়া খুলনায় ব্যাপারীদের নিকট সরবরাহ করা হয়। এই কারখানায় নারী ও পুরুষ মিলে ২০ জনের মতো লোক কাজ করেছে।
কারখানায় কর্মরত শ্রমিক সাহেব আলী, চম্পা খাতুন ও মরিয়ম বেগম বলেন, এই কারখানায় আমরা প্রায় ২০/২২ বছর ধরে কাজ করি। দিন হাজিরা হিসেবে ৩৫০ টাকা করে বেতন পাই। যা দিয়ে আমাদের সংসার চলে। স্বামীর সঙ্গে আমার আয়ে সংসারে স্বচ্ছলতা এসেছে।
হাড় সংগ্রহকারী সোলায়মান হোসেন বলেন, বেশ কয়েকজন মিলে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে হাড় সংগ্রহ করে ১৫ টাকা কেজিতে বিক্রি করি এই কারখানায়। দৈনিক প্রায় গড়ে ২৫ কেজি হাড় সংগ্রহ হয়। এ থেকে যে টাকা পাই তা দিয়ে কোনো মতে সংসার চলে।
এদিকে গরুর মাংসের দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন কসাইরা আর আগের মত হার ফেলায় না মাংসের সঙ্গেই বিক্রি করে দেয়। তাই এখন আগের মত আর হাড় সংগ্রহ করতে পারি না।
কারখানার মালিক হাফিজুল শেখ বলেন, প্রায় দুই যুগ আগে এই ব্যবসা শুরু করি। সারা দেশে ছয়টি হাড়ের কালকারখানা রয়েছে তার মধ্যে সিরাজগঞ্জে একটি। কুড়ানো হাড় কিনে নিয়ে গুড়ো করে খুলনার ডিলারের মাধ্যমে বিক্রি করি। তারা এই সব গুড়া দেশের বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির কাছে বিক্রি করে। অনেক সময় চাহিদা মত গুড়ো সরবরাহও করতে পারি না। এখন আবার হাড়ও তেমন পাওয়া যাচ্ছে না। যে কারণে আমাদের হাঁড়ের গুড়া উৎপাদনের ওপর প্রভাব পরেছে।
হাড়ের গুড়া ক্রেতা খুলনার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জালাল উদ্দিন বলেন, ঔষধ কোম্পানী ছাড়াও এই হাড়ের গুড়া থেকে গবাদি পশুর খাবার, মুরগির খাবার তৈরি হয়।
কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী আব্দুস সবুর শেখ বলেন, দীর্ঘদিন যাবত এই এলাকায় একটি হাড় গুড়া করা কারখানা রয়েছে। এই কারখানা থেকে বিভিন্ন পাইকার এসে এই গুড়া কিনে নিয়ে যায়। শুনেছি এই গুড়া দিয়ে ক্যাপসুলের কাভার বানো হয়।
আরও পড়ুন
টেন্ডারে অনিয়মসহ একাধিক অভিযোগে সাময়িক বহিষ্কার বশেমুরবিপ্রবি’র ভারপ্রাপ্ত প্রকল্প পরিচালক
তাড়াশে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান কারাগারে