হোম » সারাদেশ » সোনারগাঁয়ে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেওয়া নারীকে পিটিয়ে হত্যা মামলার আসামি মনিরসহ দু’জন র‌্যাব কতৃক গ্রেফতার

সোনারগাঁয়ে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেওয়া নারীকে পিটিয়ে হত্যা মামলার আসামি মনিরসহ দু’জন র‌্যাব কতৃক গ্রেফতার

মোঃ জাকির হোসেন, সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেওয়া রোকসানা বেগমকে পিটিয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামি মনিরসহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।   শনিবার(২৩জুলাই) নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‍্যাব-১১এর অধিনায়ক লে. কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা।

গত ১৮ জুলাই সোনারগাঁ থানাধীন সাদীপুর ইউনিয়নের বাইশটেকী দেওয়ান বাড়ীতে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেয়া এক সন্তানের জননী রোকসানা বেগমকে (৩২) পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় ২০ জুলাই নিহতের ছোট ভাই এনামুল হক বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় নয়জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
২২ জুলাই রাতে অভিযান চালিয়ে মামলার সন্দেহভাজন প্রধান আসামি সোনারগাঁয়ের বাইশটেকীর মৃত রাইজ উদ্দিনের ছেলে মনির হোসেন (৪৫) ও আমির হোসেনকে (৪০) মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানার ভবেরচর এলাকা হতে গ্রেফতার করে র‍্যাব।

প্রাথমিক অনুসন্ধান ও গ্রেফতারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ভিকটিম রোকসানা বেগমের স্বামীর সাথে তার বিগত ৭/৮ বছর আগে বিবাহ-বিচ্ছেদ হয়। তারপর থেকে তিনি তার একমাত্র ছেলেকে নিয়ে ছোট ভাই এনামুলের বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন। তিনি জীবিকার জন্য উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের বাইশটেকী গ্রামের দেওয়ান বাড়িতে জামদানি শাড়ি তৈরির কাজ করতেন।

সেই সুবাদে ওই বাড়ির মৃত রাজু মিয়ার ছেলে মনির হোসেনের সঙ্গে রোকসানার সম্পর্ক গড়ে উঠে। একপর্যায়ে বিয়ের ব্যাপারে চাপ দিলে মনির তার মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার পর বিয়ে করবে বলে আশ্বাস দেন। গত ১৫ জুলাই মনিরের মেয়ের বিয়ে হয়। এরপর রোকসানা গত ১৮ জুলাই বিয়ের দাবিতে মনিরের বাড়িতে অবস্থান নেন।

এসময় মনিরের বাড়ির লোকজন তাকে একাধিকবার বাড়ির বাইরে টেনে হিঁচড়ে বের করে দেয়। ভিকটিম তার অবস্থানে অনড় থাকায় মনির হোসেন, তার ভাই গোলজার, খোকন ওরফে খোকা, ছেলে রানা, মনিরের স্ত্রীসহ অন্যান্য আসামিরা ভিকটিমকে লোহার পাইপ, লাঠিসোঠা দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মকভাবে রক্তাক্ত করে আহত করে। মুমূর্ষু অবস্থায় রোকসানাকে মনির ও তার সহযোগীরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর সংবাদ জানার পর মনির ও তার সহযোগীরা লাশ রেখেই হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামিরা হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

error: Content is protected !!