এছাড়া শহরের হার্ডপয়েন্ট এলাকায় যমুনার পানি ১০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৪৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। (বিপদ সীমা-১৩.৭৪)। বন্যার পানি বৃদ্ধির ফলে অভ্যন্তরীণ নদী করতোয়া, ফুলজোড়, বড়াল, হুড়াসাগর, ইছামতী নদীসহ চলনবিলে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে।
অন্যদিকে, পানি বৃদ্ধির ফলে প্রতিদিনই নদীপাড়ের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। একারণে নিম্নাঞ্চলের অনেকেই বাঁধ ও উঁচু স্থানে নির্মাণাধীন ভবণ ও খোলা আকাশের নিচে ঠাঁই নিচ্ছেন। ঘর-বাড়িতে পানি ওঠায় বাঁধ ও বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন পার করছেন তারা। এছাড়া অনেকেই রাস্তার পাশে নির্মাণ করছেন অস্থায়ী ছাপরা ঘর।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, যমুনার পানি বিপদৎসীমার অনেক ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ২২ ও ২৩ জুন পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। এরপর পানি কমবে। এখনো বন্যার আশংকাজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি।
এদিকে, যমুনায় পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার কাজীপুর, চৌহালী, এনায়েতপুর ও শাহজাদপুরের চরাঞ্চলে দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙন। ভাঙন এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে বন্যায় ভাঙন রোধসহ যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে তারা।
আরও পড়ুন
কন্যাশিশু ও যুব নারীদের উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন, ও নেতৃত্ব বিকাশে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর ৩০ বছরের পথচলা ও সাফল্য উদযাপন
ভ্রাম্যমান মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৩ বাস কোম্পানিকে জরিমান
আওয়ামী লীগ নেতার ফাঁসির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন