রায়হান আলীঃ উল্লাপাড়া পৌরসভায় ডাম্পিং পয়েন্ট না থাকায় যেখানে সেখানে বর্জ্য ফেলায় পৌরবাসীদের পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় উল্লাপাড়া পৌরসভা। প্রতিষ্ঠার সময় এটি ছিল ‘গথ শ্রেণিভুক্ত। বর্তমানে এই পৌরসভা প্রথম শ্রেণিতে উন্নিত হয়েছে। দীর্ঘ ২৭ বছরে এখানে জনসংখ্যা বেড়েছে বেশ কয়েক গুন। কিন্তু বাড়েনি নাগরিক সুবিধা। তার উপর এতো দীর্ঘদিনেও আর্বজনা ফেলার নির্দিষ্ট ডাম্পিং পয়েন্ট নির্মিত হয়নি।
পৌরবাসীদের অভিযোগ যেখানে সেখানে বজর্য ও আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। বিশেষ করে পৌর শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে বিবেচিত এইচ.টি. ইমাম পৌর মুক্ত মঞ্চের পাশে, ঝিকিড়া পাটবন্দরের পাশে, বিজ্ঞান কলেজের পাশে ও পৌর বাস টার্মিনালের পাশে ফেলা হচ্ছে বিপুল পরিমান বর্জ্য। দুর্গন্ধে পাশের রাস্তা দিয়ে পৌরবাসীর চলাচল করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। আবাসিক এলাকার বাসিন্দারাও বর্জ্য আবর্জনার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। পৌরবাসী পৌরসভা কর্তৃপক্ষের কাছে নির্দিষ্ট স্থানে বর্জ্য ফেলার ব্যবস্থা করার জন্য অনেকবার আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু এতে সাড়া দেয়নি কর্তৃপক্ষ।
সরকারী আকবর আলী কলেজের শিক্ষার্থী মোঃ আব্দুল আলিম, আতিকুল ইসলাম, শারমিন খাতুন জানান, এই পথে যাতায়াতের সময় খুবই দুগন্ধ পোহাতে হয়। এ কারণে তাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকিত পড়তে হয়। তারা অবিলম্বে একটি নির্দিষ্ট ডাম্পিং পয়েন্ট স্থাপনের জন্য অনুরোধ জানান।
এ ব্যাপারে পৌর মেয়র এস এম নজরুল ইসলাম পৌরসভায় নির্দিষ্ট ডাম্পিং পয়েন্ট তৈরি না করায় নাগরিকদের বিভিন্নমুখী কষ্ট ও দুভোর্গের কথা স্বীকার করেন। তিনি জানান, আসলেই পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে বর্জ্য আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। এটা স্বাস্থ্যসম্মত নয়। তবে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যেই ডাম্পিং পয়েন্ট প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে। খুব শিগগিরই এটি বাস্তবায়িত হবে। নিরসন হবে পৌরবাসীর অনেক দিনের দুর্ভোগ
আরও পড়ুন
কক্সবাজারের রাখাইন পল্লীতে জল খেলি উৎসবে মাতোয়ারা রাখাইন নারী পুরুষ
দোহাজারী শঙ্খনদীতে গোসল করতে নেমে ১ রোহিঙ্গা যুবকের মৃত্যু
মিয়ানমারের আরও ২৪ বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয়ে এল