হোম » সারাদেশ » বাসাইলে বিদেশ পাঠানোর কথা বলে প্রতারণা; টাকা ফেরত ও দালালের শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

বাসাইলে বিদেশ পাঠানোর কথা বলে প্রতারণা; টাকা ফেরত ও দালালের শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

অর্ণব আল আমিন, বাসাইল, টাঙ্গাইলঃ টাঙ্গাইলের বাসাইলে বিদেশ পাঠানোর কথা বলে প্রতারণার অভিযোগ এনে টাকা ফেরত ও প্রতারকের শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের অডিটরিয়ামে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন ভুক্তভোগি বাবুল আহমেদ ও সিরাজুল ইসলাম।

ভুক্তভোগি বাবুল আহমেদ জেলার বাসাইল উপজেলার হাকিমপুর গ্রামের আলাউদ্দিন তালুকদারের ছেলে ও সিরাজুল ইসলাম একই গ্রামের শাহজাহানে ছেলে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা একই গ্রামের বছির মিয়ার ছেলে আব্দুর রাজ্জাক ও তার ভাগ্নে মির্জাপুর উপজেলার ছাওয়ালী মহেড়া এলাকার কাইয়ুম মিয়ার ছেলে মাসুদ মিয়া।

লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগি বাবুল আহমেদ বলেন, ‘আমি ও আমার প্রতিবেশি সিরাজুল ইসলাম বাড়িতে বেকারত্বে দিন কাটাচ্ছিলাম। এমতাবস্থায় গ্রামের বছির মিয়ার ছেলে আব্দুর রাজ্জাক তার ভাগ্নে মির্জাপুর উপজেলার ছাওয়ালী মহেড়া এলাকার মাসুদ মিয়ার মাধ্যমে আমাকে এবং সিরাজুলকে ব্রনাই পাঠানোর জন্য প্রস্তাব দেন। তার কথায় রাজি হয়ে ঋণ করে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে আব্দুর রাজ্জাককে আমি ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিই। এছাড়াও সিরাজুল আব্দুর রাজ্জাককে ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা দেয়।

প্রায় ৩ বছর পার হলেও তিনি আমাদের বিদেশে পাঠাতে পারেননি। এমতাবস্থায় আমাদের ঋণের বোঝা আরও ভারি হতে থাকে। তিনি বিদেশ পাঠাতে ব্যর্থ হলে আমরা টাকাগুলো ফেরত চাই। কিন্তু তিনি টাকা ফেরত দিতে বারবার সময়ক্ষেপণ করেন। পরে আমরা ফুলকি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিই। ইউপি চেয়ারম্যান দুই পক্ষকে নিয়েই সালিশি বৈঠক করেন। ওই সালিশে আব্দুর রাজ্জাক টাকা ফেরত দিতে সময় চান। সালিশ থেকে তাকে টাকা ফেরত দিতে এক মাসের সময় দেন।

নির্ধারিত সময়ে টাকা ফেরত না দেওয়ায় বিষয়টি নিয়ে চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে একাধিকবার সালিশের আয়োজন করা হয়। সালিশে আব্দুর রাজ্জাক হাজির হলেও তার ভাগ্নে মাসুদ কোনও সালিশেই হাজির হয়নি। এই দীর্ঘদিনেও টাকা ফেরত না দেওয়ায় আমরা নিরুপায় হয়ে চলতি বছরের ২০ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বাসাইল আমলী আদালতে আব্দুর রাজ্জাক ও তার ভাগ্নে মাসুদ মিয়ার বিরুদ্ধে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করি। সেই মামলা আদালতের বিচারক টাঙ্গাইলের কর্মসংস্থান ও জনশক্তি কার্যালয়ের কর্মকর্তাকে তদন্ত করার দায়িত্ব দিয়েছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি ও প্রতিবেশি সিরাজুল নিরীহ মানুষ। কোন রকমভাবে আমাদের সংসার চলে। আমাদের ঋণ করা টাকার সুদ দিন দিন বেড়েই চলছে। এই অসহায়ত্বের সময়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। আর আমাদের টাকাগুলো ফেরত ও দালাল আব্দুর রাজ্জাক ও মাসুদের শাস্তি দাবি করছি।’ সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগি বাবুল আহমেদ ও সিরাজুল ইসলাম ছাড়াও তাদের কয়েকজন স্বজন উপস্থিত ছিলেন।

error: Content is protected !!