বরগুনা প্রতিনিধিঃ বরগুনার আমতলী উপজেলার ছোট নীলগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দাতা সদস্যের টাকা দাখিলে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতার ছেলে আবদুল জব্বার মুসুল্লীসহ ৮ জন দাতা সদস্যের টাকা জমা দেয়ার রশিদ ছিনিয়ে নিয়েছেন বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম মৃধার সন্ত্রাসী বাহিনী। মঙ্গলবার দুপুরে আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়নে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেছেন দাতা সদস্য পদে টাকা জমা দেয়া আবদুল জব্বার মুসুল্লীসহ ৬ জন।
লিখিত বক্তব্যে আবদুল জব্বার মুসুল্লী বলেন, আমতলী উপজেলার ছোট নীলগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দাতা সদস্য নির্বাচনে গত ৯ নভেম্বর বিজ্ঞপ্তি জারি করেন বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মোঃ মোশাররেফ হোসেন।
টাকা জমা দানের শেষ তারিখ ছিল গত সোমবার (২ ডিসেম্বর)। অফেরত যোগ্য জনপ্রতি ২০ হাজার টাকা বিদ্যালয়ের তহবিলে জমা দেয়া হয়। টাকা জমা দেয়ার শেষ দিনে ২২ জনে টাকা জমা দেয়। টাকা জমা দিয়ে ফেরার পথে সোমবার বিকেলে আমার, মোতাহার উদ্দিন মৃধা, মোসাঃ মাকসুদা আকতার জোসনা, ফারুক উদ্দিন খান, সাইফুল ইসলাম বাদল, মোঃ মিজানুর রহমান মুসুল্লী, সামসুল আলম মনু মুসুল্লী ও মোঃ মিজানুর রহমানের টাকা জমা দেয়ার রশিদ বিদ্যালয়ের বর্তমান সভাপতি আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম মৃধার ২০-২২ জন সন্ত্রাসী বাহিনী ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন তিনি সংবাদ সম্মেলনে। তিনি আরো বলেন, বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মোঃ মোশাররফ হোসেন ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম মৃধা আট জমের জমা দেয়া এক লক্ষ ষাট হাজার টাকা আত্মসাৎ ও আমরা যাতে বিদ্যালয়ে দাতা সদস্য হতে না পারি সে জন্য এ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটিয়েছে।
বর্তমান সভাপতি নুরুল ইসলাম মৃধা পুনরায় সভাপতি হওয়ার জন্য তার স্ত্রী, পুত্র, ভাই,ভাগ্নে ও ভাইয়ের ছেলেসহ ১৪ জনের নামে টাকা দাখিল করেছেন। জব্বার মুসুল্লী আরো বলেন, প্রধান শিক্ষক টাকা জমা দানে দুইটি রশিদ বই ব্যবহার করেছেন। একটিতে সভাপতি নুরুল ইসলামের লোকজনের টাকা এবং অন্য বইতে আমারসহ ৮ জনের টাকা জমা নিয়েছেন। ওই বই থেকেই কাটা ৮ টি রশিদ তারা ছিটিয়ে নিয়েছেন। এ ছাড়াও সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক যোগসাজসে ওই বিদ্যালয়ের সরকারী বরাদ্দ, ভর্তি ফি, বিভিন্ন পরীক্ষার ফরম পুরনের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন মোঃ ফারুন হোসেন খান, সাইফুল ইসলাম বাদল, মোঃ মিজানুর রহমান মুসুল্লী, মোঃ সামসুল আলম মনু মুসুল্লী ও মিজানুর রহমান।
এ বিষয়ে বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মোঃ মোশাররফ হোসেন দাতা সদস্য পদে ২২ জনে টাকা দাখিল করান কথা স্বীকার করে বলেন আবদুল জব্বার মুসুল্লীসহ ৮ জনের টাকা তারা তুলে নিয়ে গেছেন।বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম মৃধা সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কেউ তাদের টাকা জমা দেয়া রশিদ ছিনিয়ে নেয়নি। আমার মান ক্ষুন্ন করার জন্য একটি মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে।
আরও পড়ুন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পস বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম ও ক্লাস আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু
পীরগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানের অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত
কুবিতে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত