হোম » সারাদেশ » হোমনায় ত্রিপল মার্ডারের আসামীর আদালতে স্বীকারোক্তি

হোমনায় ত্রিপল মার্ডারের আসামীর আদালতে স্বীকারোক্তি

কুমিল্লা হোমনায় চাঞ্চল্যকর  ট্রিপল মার্ডার  মা-ছেলে ও ভাতিজিসহ  ৩ জনকে হত্যার ঘটনায়  মো. আক্তার হোসেন ওরফে সুমন(৩০) নামের  ১ জনকে আটক করেছে পুলিশ।  শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর)  হোমনা উপজেলার  শ্রীমদ্দি চরেরগাঁও গ্রাম থেকে  তাকে  গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আক্তার হোসেন চরেরগাওঁ গ্রামের হক মিয়ার ছেলে। 
 জানা গেছে, গত বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার ২নং ঘাগুটিয়া ইউনিয়নের বড় ঘাগুটিয়া গ্রামে  চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন-  বড় ঘাগুটিয়া গ্রামের  মো. শাহপরানের স্ত্রী মাহফুজা আক্তার (২৮), তার ৮ বছরের ছেলে শাহাদাৎ এবং ভাতিজী   নবম শ্রেণির ছাত্রী তিশামনি (১৫)। রাতে নিহত মাহমুজা বেগমের পিতা হোসেন মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে হোমনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন  জানান, নিহত মাহমুদার সঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া আক্তার হোসেনের দীর্ঘদিনের পরকীয়া প্রেম ছিল। এই সুবাদে আক্তারের কাছ থেকে মাহমুদা ৪০ হাজার টাকা ধার নেন। সেই টাকা দিতে ব্যর্থ হলে আক্তার তার ওপর ক্ষিপ্ত হন। গত ৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় আক্তারকে পাওনা টাকা ফেরত দেবেন বলে তারিখ দেন মাহমুজা। কিন্ত সে টাকা না দিয়ে বড় ঘাগুটিয়া শ্বশুরবাড়িতে চলে যায়। খবর পেয়ে আক্তারও টাকা আদায় করতে রাতে বড় ঘাগুটিয়া যায়। পরে  টাকা চাওয়ার এক পর্যায়ে দুজন তর্কে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে আক্তার উত্তেজিত হয়ে  কাঠদিয়ে  মাহমুজার মাথায় আঘাত করে এবং গলায় ওড়না পেঁচিয়ে  তাকে হত্যা করে।
এ ঘটনা দেখে ফেলায় মাহমুজার ছেলে শাহাদাৎ এবং ভাতিজী তিশামনিকেও মাথায় আঘাত করে ও গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। পরদিন সকালে তিশামনির ছোটবোন মিম স্কুলে যাওয়ার জন্য ডাকতে এসে তাদের লাশ দেখে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।মর্গে প্রেরণ করেন। এ ঘটনায়  রাতে  নিহত মাহমুজার বাবা  হোসেন মিয়া বাদী হয়ে  হোমনা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এরপর শুরু হয় তদন্ত। থানার ওসি (তদন্ত)  মো. জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আক্তারকে শনাক্ত করে  শুক্রবার রাত ১-৩০ মিনিটে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার বিকেলে আদালতে তোলা হলে আসামী আক্তার  ঘটনার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
-খন্দকার মেহেদী হাসান-

Loading

error: Content is protected !!