পটল একটি প্রধান গ্রীস্মকালীন সবজি। বাংলাদেশের সব জেলায় পটল চাষ হয় না। সাধারণত গাইবান্ধা, রংপুর, রাজশাহী, বগুড়া, পাবনা, কুষ্টিয়া, যশোর, ফরিদপুর ও খুলনা জেলায় পটল চাষ করা হয়।
শুক্রবার (৩০ আগষ্ট) সকালে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ পৌর কাঁচা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, পটল দিয়ে বাজার ভরে গেছে। কৃষকরা ক্ষেত থেকে পটল তুলে এনে সরাসরি পাইকারি বাজারে বিক্রি করছে। সেই পটল শত শত বস্তায় করে কাঁচামাল ব্যবসায়ীরা (পাইকার) ট্রাক যোগে দেশের বিভিন্ন জেলায় নিয়ে যাচ্ছে।
গোবিন্দগঞ্জ কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি মৌসুমে উপজেলার পৌরসভা, গুমানীগঞ্জ, দরবস্ত, কামারদহ, মহিমাগঞ্জ, কোচাশহর, শালমারা, নাকাই ও কাটাবাড়ী ইউনিয়নে পটল বেশি চাষ হয়েছে। এবার উপজেলায় মোট ১১৮ হেক্টর জমিতে কৃষকরা পটলের চাষ করেছে এবং তারা দামও ভালো পাচ্ছে। বাজারে এখন প্রতি মণ পটল পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা। এক বিঘা জমিতে পটল চাষ করতে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকার মত খরচ হয়। একজন কৃষক মৌসুমের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রায় দুই লাখ থেকে আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত পটল বিক্রি করতে পারেন। উপজেলায় পটলের পাশাপাশি নানা জাতের মৌসুমি সবজি আবাদও ভালো হয়েছে।
পটল বিক্রি করতে আসা কৃষক আব্দুস সোবহান বলেন, এবার পটলের ফলন ভালো হয়েছে। গাছে পটল ধরা শুরু হওয়ার পর থেকে প্রতি সপ্তাহে পটল তুলে বিক্রি করছি। ১ বিঘা জমিতে সপ্তাহে প্রায় ৫ থেকে ৬ মণ পটল তুলে বিক্রি করতে পারি। আজকে ৯০০ টাকা মণ দরে পটল বিক্রি করেছি। বাজার দর ভালো থাকায় পটল বিক্রি করে লাভ হচ্ছে। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, বীজ রোপন করা থেকে শুরু করে সঠিক পরিচর্যা ও পোঁকা দমনের সকল পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। ফলে পটলের বাম্পার ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকরা খুশি। আগামীতে আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছি।
-আঃ খালেক মন্ডল-
আরও পড়ুন
হাতীবান্ধা এস এস একাডেমির জার্সি উন্মোচন ও চাইনিজ টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত
আলফাডাঙ্গায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে একাধিক ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেয়ার অভিযোগ
ঠাকুরগাঁও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান ১০ হাজার টাকা জরিমানা