দেশে দিন দিনই ভারি হচ্ছে বেকারত্বের পাল্লা। দীর্ঘ শিক্ষা জীবন ইতি টানার পরেও পরিবারের পাশে দাড়াতে পারছে না একটি কর্মসংস্থান অভাবে। চাকরী যখন সোনার হরিণ তখন একাই দুই পদ ও তার বেতন তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠে আমদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তারের বিরুদ্ধে।
চলতি বছরের শুরুতেই সহকারী প্রধান শিক্ষক থেকে একই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হলে দুই পদেরই বেতন -ভাতাসহ সকল সুযোগ -সুবিধা গ্রহণ করেছেন সহকারী প্রধান শিক্ষক। যা নিয়ে এলাকাসহ উপজেলা ব্যাপী চলছে আলোচনা সমলোচনার ঝড়। এমনই অভিযোগ উঠেছে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়নের অন্তরগত আমদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকে আব্দুস সাত্তারের বিরুদ্ধে। আব্দুস সাত্তার একই উপজেলার হরিণগাছী গ্রামের সন্তান। প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতা জীবন শুরু করলেও শারিরিক শিক্ষা শিক্ষক হিসেবে তিনি এমপিওভুক্ত হন এবং ২০১৭ সালে তিনি সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, আমদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তার ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সহকারী প্রধান শিক্ষক থেকে একই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হন । তিনি প্রধান শিক্ষক পদে যোগদান করলেও সহ সহকারী প্রধান শিক্ষকের বেতন-ভাতাসহ দুই পদের সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করেন প্রতিমাসেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্র থেকে জানা যায় যে, আব্দুস সাত্তার স্যার তার ইচ্ছা মত অফিস পরিচালনা করেন। যখন যে পদের প্রয়োজন তিনি তখন সেই পদ ব্যবহার করতেন। সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে অব্যাহতি না নিয়ে প্রধান শিক্ষকের পদে কিভাবে নিয়োগ পেলেন তা আমাদের বুঝে আসে না। তিনি প্রধান শিক্ষক নিয়োগের পর বেতন না আসাই পূর্বের সহকারী প্রধান শিক্ষকের বেতন ভাতা গ্রহণ করতেন।
অফিসিয়াল ভাবে তিনি প্রধান শিক্ষকের কার্যকর্ম পরিচালনা করেলেও সুযোগে স্বদ ব্যবহার করতে ভুলতেন না তিনি।সদ্য বাতিল হওয়া সম্প্রতি উপজেলা নির্বাচনে প্রধান শিক্ষকের নির্বাচনি ডিউটি /দায়িত্ব না থাকায় তিনি সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ ব্যবহার করেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা এমপিও নীতিমালার ১৩ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, বেতন-ভাতাদির সরকারি অংশ প্রাপ্তির জন্য শিক্ষক-কর্মচারীরা একই সঙ্গে একাধিক স্থানে চাকরিতে বা আর্থিক লাভজনক কোনো পদে নিয়োজিত থাকতে পারেন না। তবে তিনি সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে অব্যাহতি না দিয়ে কিভাবে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পেলেন এ নিয়ে চলছে সমালোচনার ঝড়।
এমন জালিয়াতি করে আব্দুস সাত্তার প্রধানশিক্ষক নিয়োগ পাওয়ার পরেও সহকারী প্রদান শিক্ষকের বেতন তোলার তথ্য নিশ্চিত করেছে রূপালী ব্যাংক হোসেনাবাদ শাখা পরিচালনা। এবিষয়ে আব্দুস সাত্তারের কাছে জানতে চাইলে তিনি এমন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি এমন কোন দুর্নীতি করিনি এগুলো মিথ্যা অভিযোগ ।
-জাহিদ হাসান-
আরও পড়ুন
হাতীবান্ধা এস এস একাডেমির জার্সি উন্মোচন ও চাইনিজ টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত
আলফাডাঙ্গায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে একাধিক ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেয়ার অভিযোগ
ঠাকুরগাঁও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান ১০ হাজার টাকা জরিমানা