কক্সবাজারের পেকুয়ায় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে শ্রমিক দল নেতা শহিদুল ইসলাম ওরফে শওকত মারা গেছেন। এ ঘটনায় আহত হয়ে আরও দুজন পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সোমবার (২৬ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে পেকুয়া বাজারের পশ্চিম পাশে ওয়াপদা অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াছ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত শহিদুল ইসলাম উপজেলার সদর পশ্চিম জোন শ্রমিক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। আহতরা হলেন নিহতের ভাই মোহাম্মদ শাকের ও চাচাতো ভাই মোহাম্মদ তারেক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পেকুয়া সদর পশ্চিম জোন শ্রমিক দলের দুটি পক্ষ রয়েছে। একটি পক্ষের নেতৃত্ব দিতেন শহিদুল ইসলাম এবং অন্যটির নেতৃত্বে সাবেক সহসভাপতি বদিউল আলম ও সাজ্জাদুল ইসলাম। এ দুটি পক্ষ যথাক্রমে পেকুয়া উপজেলা শ্রমিক দলের সিনিয়র সহসভাপতি মোহাম্মদ ওসমান ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হারুনুর রশিদের অনুসারী। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে দুই পক্ষই পেকুয়া সিএনজি, টেম্পু, অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের লাইন দখল নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে। এর জেরে ও দলের অভ্যন্তরীণ বিরোধে শহিদুলকে ছুরিকাঘাতে মারা হয়েছে।
পেকুয়া উপজেলা শ্রমিক দলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হারুনুর রশিদ বলেন, হতাহত ও হামলাকারী সবার সঙ্গে আমার সুসম্পর্ক রয়েছে। এখানে শ্রমিক সংগঠনের কোনো বিষয় সম্পৃক্ত নয়। আমার সঙ্গে যে ওসমানের বিরোধের কথা বলা হচ্ছে, সেই ওসমানের সঙ্গে আমার কোনো বিরোধ নেই। হামলার কথা শুনে আমি আর ওসমান দুজনে একসঙ্গে হাসপাতালে গিয়েছি। ওসি মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কারা এ হত্যার সঙ্গে জড়িত এখনও জানা যায়নি। মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর লাশ পরিবারে হস্তান্তর করা হবে।
-কক্সবাজার প্রতিনিধি-
আরও পড়ুন
হাতীবান্ধা এস এস একাডেমির জার্সি উন্মোচন ও চাইনিজ টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত
আলফাডাঙ্গায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে একাধিক ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেয়ার অভিযোগ
ঠাকুরগাঁও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান ১০ হাজার টাকা জরিমানা