হোম » শিক্ষা » কুবিতে অন্যায়ভাবে আক্রমণের শিকার জুনিয়র: হল ছাড়ার নির্দেশ অভিযুক্ত সিনিয়রকে 

কুবিতে অন্যায়ভাবে আক্রমণের শিকার জুনিয়র: হল ছাড়ার নির্দেশ অভিযুক্ত সিনিয়রকে 

সজীব আহম্মেদ রিমন: সালাম না দেওয়াকে কেন্দ্র করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল-এ সিনিয়রের আক্রমণের শিকার জুনিয়র। শুক্রবার (২৪ মার্চ) রাত সাড়ে ৯ টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল-এর দক্ষিণ দিকের গেটে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ১৩তম আবর্তনের শিক্ষার্থী সেলিম আহমেদ ও আইন বিভাগের ১১তম আবর্তনের শিক্ষার্থী নওয়াজ শরীফ ফাহিমের মাঝে এ মারামারির ঘটনা ঘটে। 
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ডাইনিং কর্মী সাদেক কে উচ্চস্বরে ডাক দেওয়া ও সালাম না দেওয়া নিয়ে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ১৪তম আবর্তন ও বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আব্দুর রহিম মিরহাম-এর সাথে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন ও ধাক্কাধাক্কি করেন আইন বিভাগের ১১তম আবর্তনের শিক্ষার্থী নওয়াজ শরিফ ফাহিম। ঘটনার কিছু পরে মিরহাম তার ইমিডিয়েট সিনিয়র সেলিম আহমেদকে বিষয়টা জানালে তখনই মিটমাট হয়ে যায়।
পরবর্তীতে রাতে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ১২তম আবর্তন ও বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মাধব সূত্রাধর-এর সালাম না দেওয়াকে কেন্দ্র করে তাকে নওয়াজ শরিফ ফাহিম আজেবাজে কথা বলেন। সেলিম আহমেদ তার ইমিডিয়েট সিনিয়রের সাথে আজেবাজে কথা বলার কারণ জানতে চাইলে ফাহিম উত্তেজিত হয়ে উঠেন এবং দুপুরের ঘঠনা নিয়েও তর্কাতর্কি করেন। তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে ফাহিম সেলিমের পাঞ্জাবি টেনে হল গেটের ভিতরে নিয়ে আসেন এবং মারতে শুরু করেন। মারামারি ধামাতে গেলে ফাহিম বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আরমান, সানী ও মামুনকে মেরে আহত করেন।
পরবর্তীতে হল প্রাধ্যক্ষের অফিসে দুই পক্ষকে নিয়ে বসেন প্রাধ্যক্ষ ও সহকারী প্রক্টর অমিত দত্ত। সেখানে অন্যায়ভাবে জুনিয়রকে মারধর করার বিষয়টি তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে প্রমাণিত হলে নওয়াজ শরিফ ফাহিম-কে চলতি মাস শেষে হল ছাড়ার নির্দেশ দেয় প্রাধ্যক্ষ ড. মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম।
দুপুরের ঘটনায় ভিক্টিম আব্দুর রহিম মিরহাম বলেন, জুম্মার নামাজ পড়ে আাসার সময় ডাইনিং বয় সাদেক ভাইকে একটু উচ্চ স্বরে ডাকার কারণে পাশে থাকা ফাহিম ভাই আমাকে ধাক্কা দেন ও মারার হুমকি দেন। আমি সেখান থেকে চলে এসে আমার বিভাগের সিনিয়র সেলিম ভাইকে ঘটনাটি বলি, তিনি আমাকে ভাইকে সরি বলতে বললে এবং আমি পরবর্তীতে সরি বলে চলে আসি।
ভুক্তভোগী সেলিম আহমেদ বলেন, ‘ফাহিম আমার সিনিয়র ভাই আমি তাকে সম্মান করি। রাতে খাবারের সময় দুপুরে ঘটনার কথা উঠলে উনি আমাকে দোকান থেকে হাত ধরে রাস্তায় নিয়ে আসে এবং এক পর্যায়ে আমার গায়ে হাত তুলে। আমি যদি ভুল করি তাহলে সে আমাকে তার রুমে নিয়ে বুঝাতে পারে, শাসন করতে পারে তাই বলে দোকানের মধ্যে সবার সামনে গায়ে হাত তুলতে পারে না।’
প্রভোস্ট রুমে আআত্মপক্ষ সমর্থনে অভিযুক্ত নওয়াজ শরীফ ফাহিম বলেন, ‘আমি সিনিয়র হিসেবে সেলিমকে শাসন করতে চেয়েছিলাম। আমি ইচ্ছাকৃত ভাবে তার গায়ে হাত তুলি নাই।’
এ ঘটনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম বলেন, ‘দুই পক্ষের কথা শুনে এবং পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা ফাহিমকে আপাতত হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছি এবং চলতি মাস হলে থেকে পরবর্তী মাসের শুরুতে হল ছেড়ে দেওয়ার জন্য আমরা তাকে বলেছি।’
error: Content is protected !!