আওয়াজ অনলাইন: রুচির দৈন্যতা ও অশ্লীলতার আগ্রাসনে বাংলা নাটকের গৌরবময় ঐতিহ্য হুমকিতে- এমন মত বিশিষ্টজনদের। সম্প্রচার নীতিমালা না থাকায় উন্মুক্ত প্ল্যাটফর্মগুলোতে বাড়ছে অশ্লীল দৃশ্য ধারণ, সংলাপ ও ভিউ বাড়ানোর অসুস্থ প্রতিযোগিতা। সংকট নিসরসনে পরিচালক, চিত্রগ্রাহক, অভিনয়শিল্পী, স্ক্রিপ্ট লেখকসহ সবাইকে সমন্বিতভাবে কাজ করার তাগিদ তাদের।
টেলিভিশন ও ডিজিটাল মাধ্যমের নাটকে অশ্লীলতা ও করণীয় শীর্ষক মুক্ত আলোচনার আয়োজন করে ডিরেক্টরস গিল্ড।
এক্ষেত্রে পরিচালকদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে বলে মনে করেন নাট্যজন মামুনুর রশীদ। তাগিদ দিয়েছেন, গল্পকারদের গল্প বাছাইয়ের প্রতিও।
নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ বলেন, “ডিরেক্টররা কি সচেতন, যে স্টোরিটা আমরা ঠিক করছি, যে অ্যাক্টরেসরা কাজ করছি- সেক্ষেত্রে এগুলো আমরা কি করতে পারি বা করা উচিত?”
বাঙালি সংস্কৃতি চর্চা, লালন ও ধারণ না করার ফলে অশ্লীল নাটক তৈরি হচ্ছে। এক্ষেত্রে এগিয়ে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম।
অভিনেত্রী নাজনীন হাসান চুমকি বলেন, “ইরানের কোনো সিনেমা আমরা কি এভাবে দেখি, তারা কিন্তু তাদের সংস্কৃতির বাইরে যায়না।”
ইউটিউবের মাধ্যমে টাকা আয় নিয়ন্ত্রণ করা গেলে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর পেশাদারিত্ব ফিরবে বলে মনে করছেন নাট্য সংশ্লিষ্টরা।
নাট্যসংঘ সভাপতি হারুন রশীদ বলেন, “কোনো এ্যাক্টর বাজে সংলাপ বলবেনা, বাজে সিকোয়েন্সে সে পারফর্ম করবেনা। তারপরে খুবই অশ্লীল নাটকেও দু’জন নামকরা অভিনয় শিল্পী বা সিনিয়র শিল্পীও অভিনয় করেন।”
অশ্লীলতারোধে আড়াই বছর আগে তথ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘অনলাইন কন্টেন্ট নীতিমালা’ হলেও এখনও বাস্তবায়ন হয়নি- এমন অভিযোগ ডিরেক্টরস গিল্ডের।
ডিরেক্টরস গিল্ড সাধারণ সম্পাদক এস এ হক অলীক বলেন, “একটা খসড়া নীতিমালা করা হলো, সেই নীতিমালা গত আড়াই বছরে কোন জায়গায়টায় আছে সেটা জানিনা।”
আরও পড়ুন
গাইবান্ধায় ঈদ আনন্দ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে ঐতিহ্যবাহী পাতা খেলায়
অভিনেত্রী সীমানা মারা গেছেন
নায়ক ফারুকের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ