হোম » অপরাধ-দুর্নীতি » হাতীবান্ধায় ব্যাংকের ভিতর থেকে শিক্ষিকার ৪০ হাজার টাকা ছিনতাই !

হাতীবান্ধায় ব্যাংকের ভিতর থেকে শিক্ষিকার ৪০ হাজার টাকা ছিনতাই !

মিজানুর রহমানঃ লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় নাজমা আক্তার নামে এক শিক্ষিকার ব্যাংক থেকে উত্তোলনের ৪০ হাজার টাকা ব্যাংকের ভিতরেই ছিনতাই হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ব্যাংক ম্যানেজেরকে জানাতে গেলে উল্টো ওই শিক্ষিকাকেই জোড় পূর্বক ব্যাংক থেকে বের করে দেন বলে জানান ওই শিক্ষিকা।  বৃহস্পতিবার (৬ মে) সকাল ১১টার দিকে হাতীবান্ধা সোনালী ব্যাংকের ভিতরে ক্যাশ কাউন্টারের নিকট এ ঘটনাটি ঘটে। এদিকে ব্যাংকের ভিতরে বা বাইরে নেই কোনো সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা। ফলে ক্ষুদ্ধ ব্যাংকে আসা সর্বস্তরের গ্রাহকরা।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষিকা উপজেলার গোতামারী ইউনিয়নের ঘুটিয়া মঙ্গল পাড়া এলাকার রেজাউল করিমের স্ত্রী এবং গোতামারী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা।  জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে হাতীবান্ধা সোনালী ব্যাংকে টাকা উত্তোলনের জন্য যান নাজমা আক্তার। ৪০ হাজার টাকা উত্তোলনও করেন। এ সময় পাশে দাড়িয়ে থাকা এক ব্যক্তি। যার গায়ের রং শ্যামলা, মাথায় ছোট ছোট চুল, লম্বা গড়ন, নীল রং এর শার্ট এবং কালো জিন্স পড়া নাজমা আক্তারকে টাকা গুলো গুনে নিতে বলেন। উত্তরে নাজমা আক্তার বলেন টাকা গুনতে হবে না। এ সময় কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই ওই ব্যাক্তি নামজা আক্তারের হাত থেকে জোড় পূর্বক টাকা নিয়ে সটকে পড়েন। এতে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন, চিতকার করার শক্তি টুকুনও হারিয়ে ফেলেন নাজমা। আর সেখানে ওই ব্যক্তিকে দেখতে পাননা।
এ বিষয়ে শিক্ষিকা নাজমা আক্তারের কাছে জানতে চাইলে কান্না জড়িত কন্ঠে তিনি বলেন, আমি যখনই টাকা উত্তোলন করলাম, তখনই ওই ব্যক্তি বললো টাকাটি গুনে নেন। আমি বললাম গুনতে হবে না। তারপর উনি আবার বললো ছেড়া আছে কিনা দেখেন। আমি তাতেও রাজি হয়নি। কিন্ত উনি জোড় করে টাকাটা হাত থেকে নিলেন এবং নিমিষেই চলে গেলে। আমি কিছুই বুঝে উঠতে পারি নাই। এ সময় আমি যে চিতকার করবো সে শক্তিও হারিয়ে ফেলি। আমি দ্রুত ম্যানেজারের কাছে যাই, বিষয়টি অবগত করি।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার আসাদুজ্জামান রাজু বলেন, ওই মহিলা নিজেই ওই লোককে টাকা দিয়েছে। এখানে আমাদের কোনো করনীয় নেই। ব্যাংকের সিসি ক্যামেরা আছে কিনা? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্যাংকে কোনো সিসি ক্যামেরা নেই। সিসি ক্যামেরার জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে বেশ কয়েকবার বলা হয়েছে। এখানো কোনো ব্যবস্থা নেননি তারা।  এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এরশাদুল আলম বলেন, বিষয়টি জানা নেই। তবে অভিযোগ পেলে, তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
error: Content is protected !!